জাবিতে পর্দা নামছে বাংলা বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীর

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৩২ পিএম | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৩৫ পিএম

আনন্দ উৎসবে জাবির বাংলা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা

আনন্দ উৎসবে জাবির বাংলা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা

‘বাংলার বুকে সমবেত সুখে’ স্লোগানকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বাংলা বিভাগের আয়োজনে উদ্যাপিত হচ্ছে বাংলা বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী।

আগামীকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এ বিভাগের ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণে রেখে আয়োজন করা হয়েছে ৫০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। 

প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণে এই সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হবে।

দীর্ঘ ৫০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা।

তিনি বলেন, আমরা একটা সেতুবন্ধন তৈরি করতে চাই অতীত ও বর্তমান শিক্ষার্থীর মাঝে। একটা ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া আমার উদ্দেশ্য সারা বাংলাদেশে আমাদের বিভাগের মুখ উজ্জ্বল করে যারা আছেন তারা আসবেন, বর্তমানদেরকে অনুপ্রেরণা দিবেন। এটাই উদ্দেশ্য। 

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, আনন্দ শোভাযাত্রা, র্যাফেল ড্র, প্রাক্তনদের স্মৃতিচারণ,  প্রাক্তন শিক্ষকবৃন্দের সম্মাননা ও সর্বশেষ চিরকুট ব্যান্ডের পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ নামবে এই মহাযজ্ঞ। 

উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বরের ঠিক ৫০ দিন পূর্বে ১১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে বাংলা বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি মাননীয় উপাচার্য ড. মো. নূরুল আলম।

এর আগে ধারাবাহিকতায় ২১ নভেম্বর আলোচনা অনুষ্ঠান ‘সংলাপ: ইতিহাসের আলোয় বাংলা বিভাগ’, ২৫ নভেম্বর শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ৪ ও ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন গুণী শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়মূলক অনুষ্ঠান ‘কর্মপরিসর ও বাংলা বিভাগ’ প্রভৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় প্রবন্ধ ও কুইজ প্রতিযোগিতা। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, স্মৃতিবৃক্ষ রোপণ ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। 

নবান্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয় পুতুলনাট্য, পালা: জয়তুন বিবির পালা ও লোকসঙ্গীত। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে আয়োজিত হয় আলোচনা অনুষ্ঠান ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’ এবং প্রদর্শিত হয় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ‘মুক্তির পণ’ ও আদিবাসী জীবন ও সংগ্রামনির্ভর নাটক ‘জুম্মবী’। 

৩০ ডিসেম্বর সুবর্ণজয়ন্তীর মূল আয়োজন ছিল দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। এ অনুষ্ঠানমালার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় নতুন কলাভবন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ‘মহুয়া মঞ্চ ’।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh