কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৮ পিএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:১৯ পিএম
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ছবি। ছবি: প্রতিবেদক
কক্সবাজারে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটকে’ ঘিরে বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সরকারি নির্দেশনা মতো কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আউটডোর আয়োজনের উপর দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে সীমিত আকারে ইনডোর আয়োজন করা যাবে অনুষ্ঠান।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।
তিনি জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থার্টি ফার্স্ট নাইটের অংশ হিসেবে সমুদ্র সৈকত বা কোনো উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, অনুষ্ঠান, আতশবাজি ফুটানো, গানবাজনা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। একইভাবে ইনডোর বা হোটেলেও অনুষ্ঠান সীমিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইনডোরে কোনো আয়োজন করলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে টহলরত অবস্থায় থাকবে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যর টহল জোরদার রাখবে। এই নিষেধাজ্ঞা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আগে থেকে নানা আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে নানা পরিকল্পনা করে রেখেছিলো পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শেষে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে থার্টি ফার্স্ট নাইটে যে পর্যটক সমাগম হতো তাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। প্রতি বছর বছরের শেষ দিনের সূর্যকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করতে কয়েক লাখ পর্যটক ছুটে আসেন কক্সবাজারে। তাই সাড়ে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টকে সাজানো হয় নতুন সাজে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে এবার পর্যটকের উপস্থিতি অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল জোনের সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান।
তিনি বলেন, সবগুলো হোটেলে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। শুধু মাত্র আপদকালীন ৫ থেকে ১০ পারসনের হোটেল কক্ষ খালি রাখা হয়েছে। এসব রুম চড়া দামে বুকিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হোটেল মোটেল অফিসার্স এসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা।
বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ পুলিশ, গোয়েন্দা টিম মাঠে থাকবে। যেকোনো অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় রাখবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। বিশেষ করে পর্যটক হয়রানি কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না।