‘পৃথিবীর আর কোথাও বাংলাদেশের মতো এতো ফার্মেসি নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম

হেমায়েতপুরে লাজ ফার্মার ৫০ বছরপূ‌র্তি অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

হেমায়েতপুরে লাজ ফার্মার ৫০ বছরপূ‌র্তি অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহারের পেছনে যত্রতত্র ফার্মেসি অন্যতম একটি কারণ বলে উল্লেখ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, পৃথিবীর আর কোথাও বাংলাদেশের মতো এতো পরিমাণে ফার্মেসি নেই। এক সময় কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হতো। এখন হাত বাড়ালেই ফার্মেসি। দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি দেড় লাখ। আর নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে লাখেরও বেশি ফার্মেসি।

আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে লাজ ফার্মার ৫০ বছরপূ‌র্তি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময়  মোহাম্মদ ইউসুফ ব‌লেন, মাথাব্যথাসহ যেকোনো কিছু হলে সাথে সাথে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছে মতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারছে মানুষ। এক্ষেত্রে ফার্মেসিগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এমনকি আইসিইউতে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেটিও কাজে আসছে না। এটি একটা সময়ে মহামারিতে রূপ নেবে।

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ না দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। সামনে সংসদে পাস হবে আশা করি। একইসাথে অবৈধ ফার্মাসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশে ফার্মেসি একই রকম হলেও আমাদের এখানে ফার্মেসির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যও চলে। তাই লাজ ফার্মার মতো মডেল ফার্মেসি ও মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, এমন ফার্মেসি ছাড়া সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের এত ফার্মেসি থাকার দরকার নেই।

অধিদপ্তর মহাপরিচালক বলেন, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে দুই কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হয়, আর আমাদের এখানে হাতের কাছেই ওষুধ মেলে। আগে আইনের দুর্বলতার কারণে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। নতুন আইন হলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh