স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৪১ পিএম | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১৪ এএম
প্রথম ম্যাচেই ৩৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর রাইডার্স। ছবি: সংগৃহীত
বিপিএলে উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে জয় পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্স। রংপুরের দেয়া ১৭৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ৩৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর।
কুমিল্লার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সৈকত আলী ও লিটন দাস। দুজনের কেউই আজ সাফল্যের মুখ দেখেননি। সৈকত ১৬ ও লিটন ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন। তিনে নেমে ১৭ রান করে আউট হন ডেভিড মালান।
চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলে কায়েস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর আর কেউই শক্ত প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
সৈকত ২৫ বলে ১৫ রান করে দলের চাপটাই শুধু বাড়িয়েছেন। অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী ৪ বল খেলে করেন ৫ রান। হাসান মাহমুদের বলে আশিকুর জামান আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস।
রংপুরের হয়ে হাসান মাহমুদ তিনটি, রবিউল ইসলাম ও সিকান্দার রাজা দুটি করে এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রাকিবুল হাসান ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণেই যেন মাঠে নামেন রনি তালুকদার।
ইনিংসের প্রথম বল থেকেই মারমুখী ছিলেন রনি। সেই ধারাবাহিকতায় মাত্র ১৯ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে আরেক ওপেনার নাঈম শেখ তখন ১৪ বলে মাত্র ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রনিকে থামান খুশদিল শাহ। কুমিল্লার এই পাকিস্তানি রিক্রুটের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ার আগে ৩১ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন তিনি। এর মাধ্যমে ভাঙে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন শোয়েব মালিক। তবে অন্যপ্রান্তে বিরক্তিকর এক ইনিংস উপহার দেন নাঈম। ব্যাটিং স্বর্গে ৩৪ বল খেলে মাত্র ২৯ রান করেন তিনি। ফজলহক ফারুকির করা বাজে বলে আউট হন এই ওপেনার।
সিকান্দার রাজা আজ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তিনি ১০ বলে ১২ রান করেন। রান আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন শোয়েব। বেনি হাওয়েল ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানের ১৯ রানের অপরাজিত ক্যামিওতে রংপুরের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত হয়। কুমিল্লার হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান, ফারুকি, মোসাদ্দেক ও খুশদিল শাহ প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট শিকার করেন।