বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫৯ পিএম
লামা ম্রো পাড়ায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর। ছবি: বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ম্রো পাড়ায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় লামা থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লামা থান ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে রেংয়েন পাড়ার কারবারি রেংয়েন ম্রো বাদী হয়ে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি হিসাবে রয়েছেন লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক কামাল, উদ্দিন, দ্বিতীয় আসামি লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ও তৃতীয় নম্বর আসামি লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজার আরিফ হোসেন ও কর্মচারী নুরু, দেলোয়ার হোসেন, দুর্যোধন ত্রিপুরা, হাজিরাম ত্রিপুরা, আব্দুল মালেক ও মহসিন রেজা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সরই ইউনিয়নে ৩০৩ ডলুছড়ি মৌজার ৩টি পাড়ার তিনজন কারবারি নিয়ে তফসিল বর্ণিত ৪০০ একর জমিতে বংশপরম্পরায় পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। গত ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক থেকে ৪ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৫০/১৭০ জন পাড়ায় ঢুকে ছয়টি ট্রাকে দিয়াশলাই ও কেরোসিনের ট্যাংক দিয়ে তিন ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে ঘরের জিনিসপত্র, খাদ্যদ্রব্য, গবাদিপশু, নগদ টাকা, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র পুড়ে যায়। আরো ৫টি ঘর ভেঙে ফেলা হয়।
হামলকারিরা পাড়াবাসীদের পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
গত ১ জানুয়ারি রবিবার রাতে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের রেংয়েন ম্রো পাড়ায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লোকজনের বিরুদ্ধে। তবে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে রেংয়েন ম্রো পাড়া পরিদর্শন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্যের একটি তদন্ত দল। তদন্তের এ দলটি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ বিষয়ে খুব শিগগির কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।