এন ইসলাম
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম
আফসানা রুনা। ছবি: সংগৃহীত
কণ্ঠশিল্পী আফসানা রুনা। ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে জড়িত আছেন তিনি। ছায়ানট ও নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুল সংগীতে শিক্ষকতাও করছেন তিনি। নজরুল সংগীতের বাইরে আধুনিক গানও করেন তিনি। এরই মধ্যে তার কণ্ঠের একটি গান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তিনটি বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছে। পরিচালক নার্গিস আক্তারের ‘যৈবতী কন্যার মন’ চলচ্চিত্রে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় সুজেয় শ্যামের সুর ও সংগীতে ‘অন্তরে অন্তর জ্বালা’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এটি শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালনা (সুজেয় শ্যাম), গীতিকার (গাজী মাজহারুল আনোয়ার) ও সুরকার (সুজেয় শ্যাম) পুরস্কৃত হয়েছেন।
আফসানা রুনা বলেন বলেন, ‘অন্তরে অন্তর জ্বালা’ গানটি আমার গাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এটা আমার সংগীত জীবনের অনেক বড় একটা প্রাপ্তি বলে মনে করি। আমি এ গানটির জন্য পুরস্কার পাইনি, এতে আমার কোনো আফসোস নেই। দুজন মহান মানুষের নামের সঙ্গে আমার নামটি জড়িয়ে গেল। এর চেয়ে আনন্দ আর কিছু হতে পারে না।
প্লেব্যাকে এ কণ্ঠশিল্পীর শুরুটা প্রায় এক দশক আগে। ‘শহুরে সব গঙ্গা ফড়িং’ শিরোনামের একটি সিনেমাতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। এরপর শাহ আলম কিরনের ‘৭১ এর মা জননী’, মান্নান হীরার ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’সহ আরও কয়েকটি সিনেমার গানে তাকে পাওয়া যায়। সংগীত নিয়ে তার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকতা পেশাতেই আমাকে বেশি সময় দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে নিয়মিত গানও করছি। মাঝে করোনার কারণে দুই বছর তো সবই বন্ধ ছিল। তবে এখন আবার নতুন কিছু কাজের পরিকল্পনাও করছি। নতুন বছরে শ্রোতারা নতুন গান পাবে বলে আশা করছি।
ক্য়ারিয়ারে রুনা বেশ কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এর মধ্যে আধুনিক গানের অ্যালবামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘তোমার কাছে ফিরি’ ও ‘আমার বলে কিছু নেই।’ এছাড়া ‘ভরিয়া পরান শুনেতেছি গান’ ও ‘মুখে কেন নাহি বলো’সহ কয়েকটি নজরুল সংগীতের অ্যালবামে কণ্ঠ দেন। ভারতের হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে ‘আঁখিতে আঁখি বাঁধা’ নামে একটি অ্যালবামে রুনা গান করেছেন। বর্তমান গানের পরিবেশ নিয়েও এ সংগীতশিল্পী কথা বলেন। তার ভাষ্য, ‘এখন গান ইউটিউব মাধ্যম হয়ে গেছে। আমার নিজেরও একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। এখানেই আমার গান প্রকাশ করছি। তবে ইউটিউবের কারণে অনেক মানহীন গানও আজকাল শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে যায়। অনেক সময় দেখা যায় এসব গানের কারণে ভালো গানগুলো আড়ালে চলে যাচ্ছে। আমাদের ভালো গানগুলো প্রমোশন করা উচিত। তাহলে বাংলা গানের পরিধি বিশ্বব্যাপী হবে।’
গান নিয়ে পরিকল্পনায় তিনি বলেন, ‘আমি বরাবরই শুদ্ধ গানের সঙ্গে আছি। সময়ের চাহিদা বলে সস্তা কিছুতে নিজেকে জড়াতে পারব না। তাই ভালো কথা ও সুরের গানের সঙ্গেই থাকতে চাই। গানের শিক্ষকতা করছি। এর পাশাপাশি গানটাকেও এভাবে চালিয়ে নেব। নজরুলের গান নিয়েও সব সময় কাজ করতে চাই।’