‘নতুন শিক্ষাক্রমের ভুল জানালেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৯ পিএম

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলোয় কোনো ভুল থাকলে এবং বইয়ের কোনো বিষয় নিয়ে কারো অস্বস্তি থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে জানালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা উপহার বিতরণ ও ‘একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্রসমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, আমরা যা শিখবো তা করে করে শিখবো। সেই লক্ষ্যেই নতুন শিক্ষাক্রম। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে এবং সারা বছর বইগুলো পরিমার্জন, পরিশীলন করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ২০২৩, ২৪ ও ২৫ এই তিন বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ বছর নতুন যে বইগুলো গেছে সেগুলো পরীক্ষামূলক হিসেবেই গেছে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে। গত বছর মাত্র ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা এগুলো পাইলট করেছি। এখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের আমরা দারুণ সাড়া পেয়েছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর আমরা ৩৩ হাজার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে বইগুলো দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেবো এবং সারা বছর বইগুলোকে আমরা পরিমার্জন, পরিশীলন করবো। প্রথম, ষষ্ট, সপ্তম শ্রেণিতে যে বইগুলো গেছে সেগুলোতে কোথাও ভুল থাকতে পারে। কোনও কোনও বিষয় নিয়ে কারও অস্বস্তি থাকতে পারে। আমাদের জানাবেন। আমরা আগামী বছরের জন্য সেগুলো সংশোধন করবো। বাকি ক্লাসের বইগুলো আমরা সেই আলোকে তৈরি করবো। কাজেই এই বছরের বইগুলো কিন্তু পরীক্ষামূলক সংস্করণ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঔপনিবেশিক এবং সেটা শুধু কেরানি পয়দা করা শিক্ষা ব্যবস্থা। তিনি বলেছিলেন, এই ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে স্বাধীন দেশের স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ার যে পরিকল্পনা সেটি সম্ভব হবে না। সেজন্যই তিনি প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরতে খোদাকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করেছিলেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার দিকনির্দেশনায় যে প্রথম শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিল, সেটি বাস্তবায়িত হলে আজ আমরা যে বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি এটি আমরা আরো আগে দেখতে পেতাম। বরং হয়তো আরো এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আমার পেতে পারতাম।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা এখন একটি সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ সামনে ২০৩০ সালে আমাদের ট্যাক্স উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি বিষয় রয়েছে। যেটি আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। যেখানে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখানে চার নম্বরে যেটি রয়েছে সেটি হলো শিক্ষা এবং সেটি সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সে শিক্ষায় যদি আমরা মানুষ গড়তে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি আমরা জীবনব্যাপী করতে পারি, সেই শিক্ষা যদি সাম্যের শিক্ষা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা হয় তাহলে বাকি যে ১৬টি লক্ষ্যমাত্রা আছে সেগুলো অর্জন করা সহজ হয়ে যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh