‘বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৯ পিএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকার বাঙালির হাজার বছরের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল (১৫ জানুয়ারি) ‘লোককারু শিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ২০২৩’ উপলক্ষে আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি। 

বাণীতে তিনি বলেন, দেশীয় সংস্কৃতির লালন ও বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আমরা গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সোনারগাঁও জাদুঘরকে বিশ্বমানের জাদুঘরে রূপান্তরিত করার কাজ এগিয়ে চলছে। 

তিনি আরো বলেন, ফাউন্ডেশনের পুষ্প উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণদানের আদলে নির্মিত সুউচ্চ ভাস্কর্য বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয়ের প্রতীক। এখানে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও শহিদ শেখ রাসেলের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে এবং ঐতিহাসিক বড় সরদার বাড়ি পুনঃসংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে, যা দর্শকনন্দিত এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ধারক। 

‘লোককারু শিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ২০২৩’র সার্বিক সাফল্য কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী ‘লোককারু শিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব’ দেশীয় সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করি, এ মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী, লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলাধুলা, পুতুলনাচ, গ্রামের অবহেলিত ও প্রথিতযশা শিল্পীদের সমন্বয়ে লোকসংগীতের আসর, জারি-সারি, ভাওয়াইয়া, মুর্শিদি, মারফতি, কবিগান ও পালাগান আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখবে, যা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে। 

তিনি বলেন, শিল্প-সংস্কৃতি একটি জাতির আত্মপরিচয় বহন করে, চেতনাকে ঋদ্ধ করে। ১৯৪৮-৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন শিল্পীগণ। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন লোক ও কারুশিল্পের গবেষণা, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও পুনরুজ্জীবনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

বাণীতে তিনি বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন মাসব্যাপী ‘লোককারু শিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ২০২৩’ আয়োজন করছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং মেলা ও লোকজ উৎসব আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh