১০ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম

একনেক সভা সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

একনেক সভা সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে ৭ হাজার ৮২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর বৈদেশিক সহায়তা থেকে ব্যয় হবে ২ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকি প্রমূখ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আজকের একনেক সভায় সব মিলিয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই নদীতে নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পাশাপাশি বরিশাল জেলার কারখানা বিঘাই এবং পায়রা নদীর ভাঙন থেকে শেখ হাসিনা সেনানিবাস এলাকা রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭৬ কোটি টাকা। এছাড়া ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫২৮ কোটি টাকা।

এদিক, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় ছোট দ্বীপ এবং নদীর চরের জন্য অভিযোজন উদ্যোগ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। পাশাপাশি মাতারবাড়ী কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মচিখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, ইস্টাবিলিশমেন্ট অব গ্লোবার মেরিটাইম ডিজট্রিজ অ্যান্ড সেফলি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টারগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম প্রকল্পে ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশে ২৫টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্পে ২ হাজার ২১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডপটেড আরবান ডেভলপমেন্ট পেজ-২ খুলনা প্রকল্পে ৪৯১ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্পে ৯৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

আজকের একনেক বৈঠকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের খরচ ও মেয়াদ দুটিই বাড়ানো হয়েছে। সংশোধিত প্রকল্প অনুযায়ী খরচ বাড়বে ৩১৫ কোটি টাকা। আর মেয়াদ বাড়ছে আরও এক বছর। ডলারের দাম বাড়ার কারণে ঠিকাদারের বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন আমদানি খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh