পাঠ্যবই নিয়ে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম
অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং সপ্তম শ্রেণির ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে লেখা সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের একটি অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করার যে অভিযোগ উঠেছে তার দায় স্বীকার করেছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এ বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা দায় স্বীকার করেন।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, সারা দেশে ২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক ছাপা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি মতামত কলামে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ বইটির ব্যাপারে একটি অভিযোগ তাদের নজরে এসেছে।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, একটি পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এসব লেখকের কাছ থেকেই একধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যেকোনো যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্য বইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।
উল্লেখ্য, এই বইটি রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব, রনি বসাক। আর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।