জবিতে ‘ফাও খাওয়া’ নিয়ে ক্যান্টিন কর্মীকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম

ছাত্রলীগ নেতা সাজবুল ইসলাম। ছবি: জবি প্রতিনিধি

ছাত্রলীগ নেতা সাজবুল ইসলাম। ছবি: জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ায় ফাও খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিল চাওয়ায় ক্যান্টিনের এক কর্মীকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সাজবুল ইসলাম। তিনি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইনের অনুসারী।

আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযুক্ত সাজবুল ইসলাম ক্যান্টিনে ফ্রি তে দুই প্লেট খাবার খাওয়ার পর আরো দুই প্লেট খাবার পার্সেল দিতে বলেন। পরে ক্যান্টিনের কর্মী তুষার তাকে বিলের কথা বললে সাজবুল শাখা ছাত্রলীগের আরেক নেতা মিরাজ হোসেন বিল দিবে বলে জানায়। তুষার মিরাজকে ফোন দিয়ে জানানোর কথা বললে ছাত্রলীগ নেতা সাজবুল ক্যান্টিনের রান্নাঘরে ঢুকে লোহার বড় চামচ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, পরে ক্যান্টিনের পরিচালক মাসুদসহ আরো কয়েকজন ছাড়াতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আবারো অনবরত মারধর করেন সেই ছাত্রলীগের নেতা।

এতে ক্যান্টিন কর্মী তুষারের মাথায় ও হাতের বাহুতে জখম হয়ে যায় এবং পিঠসহ পুরো শরীর ফুলে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত ক্যান্টিন কর্মী তুষার বলেন, আমার কাছে খাবার চাইলে আমি বিলের কথা বলি। তখন সাজবুল আমাকে মিরাজ ভাই বিল দিবে বলে জানায়। আমি শুধু বলেছিলাম মিরাজ ভাইকে একটু ফোন দিয়ে জানান। তখনই তিনি রান্নাঘরের ভেতরে ঢুকে বাবুর্চির ব্যবহৃত লোহার চামচ দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাজবুল ইসলাম বলেন, আমি এমন কোনো ঘটনার সাথে জড়িত না। এ বিষয়ে কিছু জানি না।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইন বলেন, কোনো ব্যক্তির দায়ভার সংগঠন নিবে না।

অভিযুক্ত সাজবুল ছাত্রলীগের বিভাগ কমিটির পোস্টেড নেতা জানালে তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তের বিভাগের চেয়ারম্যানকে আমরা জানিয়েছি। দেখা যাক তারা কি ব্যবস্থা নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে সাজবুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে এজহারভুক্ত অন্যতম পলাতক আসামি হিসেবে হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও ক্যাম্পাসে তুচ্ছ ঘটনায় সিনিয়রদের মারধরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh