মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৪ পিএম | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৫ পিএম
শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ছবি: মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
চায়ের দেশ মৌলভীবাজাররে শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন চা শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৬.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিকেল থেকে ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। সকালে রোদ উঠার পর কমতে থাকে শীত। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে শহর স্তব্ধ হয়ে পড়ে। কমে যায় মানুষের আনাগোনা। তীব্র ঠান্ডায় চা শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। তীব্র শীতে আর ঘন কুয়াশায় জেলার শীতকালীন সবজির ক্ষতি হচ্ছে বলে একাধিক কৃষক জানিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা বিবলু চন্দ্র জানান, ঘন কুয়াশা ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন না থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ অঞ্চলে মূলত জানুয়ারি মাস থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি থাকে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানান, শীতের কারণে বোরো ধানের বীজতলায় চারা বৃদ্ধি বিলম্বিত হয়েছে। শীত ও ঘন কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ধানে চিটা আসতে পারে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুরশেদ জানান, অন্য সময়ের তুলনায় এখন শীতজনিত রোগে প্রতিদিন জেলার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের ভর্তির সংখ্যা অনেক বেশি।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, জেলায় মোট বরাদ্দ এসেছে ৩৫ হাজার ২৮০ পিস কম্বল। ইতোমধ্যে কম্বলগুলো জেলার ৭টি উপজেলার ছিন্নমূল, দিনমজুর ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।