বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম
প্রতীকী ছবি
বরিশালে প্রেমের ফাঁদে ফেল ষোড়শী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে নগরীর ধান গবেষণা সড়কে বাংলালিংক টাওয়ারের গার্ড রুমে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। তাছাড়া এই ঘটনায় কিশোর মা বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় কিশোরীর প্রেমিকসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার রায়।
মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি হলেন, পটুয়াখালীর ছোট বিঘাই গ্রামের আহসান সিকদারের ছেলে কিশোরীর প্রেমিক মিরাজ সিকদার, বাংলালিংক টাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মী জসিম এবং অপরজন অজ্ঞাত।
মামলার বরাত দিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার রায় জানান, কিশোরী মা-বাবার সাথে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকায় ভাড়া থাকে।
কিশোরীর সাথে পটুয়াখালীর মিরাজের পূর্বে থেকে সম্পর্ক ছিল। শনিবার কিশোরীর সাথে দেখা করতে বরিশালে আসে প্রেমিক মিরাজ। নগরীর লঞ্চঘাটে তাদের দুজনের দেখা হয়।
পরে কিশোরীকে ঘুরতে নেয়ার কথা বলে নগরীর ধান গবেষণা এলাকায় ২৪ নম্বর কাউন্সিলর কার্যালয় সংলগ্ন বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে নিয়ে যান।
পুলিশ পরিদর্শক বলেন, বাংলালিংক টাওয়ারের নিচে একটি কক্ষ রয়েছে। সেখানে টাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মী জসিম থাকতো। জসিমের সাথে পূর্ব পরিচয় ছিল মিরাজের।
সেই সুবাদে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৭টার দিকে কিশোরীকে গার্ড রুমে নিয়ে প্রথমে মিরাজ এবং পরে গার্ড জসিম ধর্ষণ করেন। এসময় তাদের সাথে সহযোগী হিসেবে আরো একজন ছিল। সে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরী চিৎকার দেন। কখন তারা কিশোরীকে রেখে পালিয়ে যান।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আজিমুল করিম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে কিশোরীর পরিবারকে খবর দেয়া হয়। তাছাড়া রাতেই এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি বলেন, কিশোরী জানিয়েছে, দুজনের নাম পরিচয় সে জানে। তারা দুইজনই কিশোরীর সাথে খারাপ কাজ করেছে। অজ্ঞাত যুবক সহযোগিতা করেছে। এ কারণে তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।