সুস্মিতা চক্রবর্তী
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:১৫ পিএম
কবিতা। সংগৃহীত
কুয়াশাপ্রবজ্যা
পৃথিবী আপাদমস্তক জড়ানো কুয়াশায়,
ডিসেম্বরের এমন এক রাতঘোরে,
আমরা ঘর ছেড়ে ছড়িয়ে পড়ি-
আসলে বেশি দূর ছড়াতেও পারি না;
ছায়া এসে ঘন হয়
হাতে কুয়াশারা জমে ওঠে!
ভেজা ভেজা ঠান্ডা ঠান্ডা হাত,
কুয়াশার মত মায়াময় মিহিকণা!
আগুনের মত উষ্ণতর কোনো স্ফুলিঙ্গের খোঁজ
আমরা অবলীলায় ভুলে যেতে থাকি
অথচ দূরে ঠিক আগুন জ্বালানোর দৃশ্যরাজি
উষ্ণতা অবলোকন করে!
দিগভ্রান্ত হই-
কুয়াশামথিত রাতে
আগুনে সেঁকা হিমশীতল হাতগুলো...
এ কী সত্যি!
নাকি কুয়াশার মত মায়াময় অথচ বিভ্রমের রাস্তায়,
আমাদের হাতগুলি লম্বা হতে থাকে,
রূপকথার গল্পের মত লম্বা হতে থাকে!
কোথাও ফিরি হয়তো!
লোকালয়ের উনুনের আঁচে তখন,
মাংসের পোড়া গন্ধ আসে!
তুমি আর জুড়ে নেই!
এই না-থাকার বাস্তব সময় কোলাহলে
তুমি আর জুড়ে নেই,
এমনকি মনোসরণির কোনো অতুল ঘ্রাণেও!
এই যে শীতকাল এসেছে,
ঘন ঘন শৈত্যবায়ু
গেলবার বসন্তও এসেছিল!
কোকিল ডাকা কামাকাক্সক্ষায়,
হেমন্তের পাকা ধানের সৌন্দর্যে,
তোমার কোনো চিহ্নের ডানা,
উড়তে না পারা চিলের ডানার মত
কুয়াশাক্রান্ত বেদনা জাগায় নি আর!
অথচ কুয়াশা ঝরে গেলে,
চিল ঠিক উড়ে গেছে,
ফসলবিনাশী হাওয়ায়!