ঘন কুয়াশায় বিপাকে আলুচাষিরা

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০০ পিএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম

ঘন কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছেন আলুচাষিরা। ছবি: প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছেন আলুচাষিরা। ছবি: প্রতিনিধি

দেশের যে কয়টি জেলায় সর্বাধিক আলু উৎপাদিত হয় তার মধ্যে অন্যতম রংপুর। কৃষি বিভাগের পরামর্শে রপ্তানি উপযোগী ডায়মন্ড, কুমারিকা, গ্রানুলা, কুম্বিকা, এলুয়েট, এস্টারিকস ও সানসাইনসহ বিভিন্ন জাতের সাদা আলু উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। কিন্তু রংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছেন আলুচাষিরা।

কেননা অনেক আলুচাষিরা মনে করেন, ঘন কুয়াশার পর রোদ উঠলে আলু খেতে পচন রোগের শঙ্কা রয়েছে। ঠান্ডা আবহাওয়া আলু চাষের জন্য উপযোগী হলেও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্বিগ্ন আলুচাষিরা। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে আলুচাষিদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যাবে। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নদীবেষ্টিত পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলার কয়েকটি চরে কৃষকেরা আলুর ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত।

পীরগাছা উপজেলার দেউতি এলাকার ২ নম্বর পারুল ইউনিয়নে চালুনিয়া গ্রামের কৃষক আমিন মিয়া বলেন, সার ও ডিজেলের দাম বেশি। শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। সে কারণে উৎপাদনের খরচও বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় ক্ষেতে পচন দেখা দিলে ক্ষতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহাবুবার রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যখন কোনো প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা দেবে তখন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ঘন কুয়াশার জন্য তিন থেকে পাঁচ দিন পর পর সিকিউর, মেলোডি, এক্সভেট এমজেড, এনড্রোফিল এম-৪৫, ডাইথেম-৪৫, এই জাতীয় ছত্রাকনাশক জমিতে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে আলুচাষিদের। 

কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায়, রংপুর জেলায় ৫৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি এবং বর্তমানে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh