সঞ্জয় সরকার
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:১৪ পিএম
বনগাঁদা। ছবি: সঞ্জয় সরকার
বনগাঁদা, গ্রামের বাচ্চাদের কাছে ঠিক যেন নাকফুল। দেখতে মেয়েদের অবিকল নাকফুলের মতো এই বনগাঁদা। কাণ্ডের প্রত্যেক শীর্ষে একটি করে ফুল ফোটে। সাধারণত আগাছার মধ্যেই জন্মায়। একসঙ্গে অনেকগুলো গাছ থাকে। দাঁতব্যথা বা মাড়িব্যথায় এই গাছের রস খুব উপকারী।
এর ডাঁটা ছিঁড়ে জিহ্বায় দিলে পিপারমিন্টের মতো স্বাদ অনুভূত হয়। ঠান্ডায় ও গলাব্যথাতে আছে কার্যকরী ভূমিকা। এর বৈজ্ঞানিক নাম Acmella repens. এটি সূর্যমুখী পরিবারভুক্ত একটি ফুল গাছ।
একে ইলেক্ট্রিক ডেইজিও বলা হয়। কেননা এটি মুখে দিলে বিদ্যুতের শকের মতো অনুভূত হয়। এর গাছের রস মাউথওয়াশ হিসেবে কাজ করে। এটি বহুবর্ষজীবী। এর পাতা ও ডালপালা ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফুলের রঙ সাধারণত হলুদ।
পাতা সবুজ, মসৃণ, ডিম্বাকৃতির ও অগ্রভাগ কিছুটা সুচালো। এটি বর্তমানে সালাদ হিসেবে, এমনকি খাবারের ফ্লেভার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর ফুলের রস হালকা করে পায়ে ও হাতের নখে নিয়মিত ঘষলে নখের উজ্জ্বলতা বাড়ে।