বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেলেন ডেসটিনির হারুন

আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩১ পিএম

ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ। ফাইল ছবি

ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ। ফাইল ছবি

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে চিকিৎসা এবং ওমরাহ হজ পালনের জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জামিন শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হারুন-অর-রশিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাকে চার মাসের জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের জিম্মায় থাকা পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এখন বিদেশ যেতে পারবেন। তবে চার মাসের মধ্যে ফিরে এসে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

এর আগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরমধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। ওই রায়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ। সেই সঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২২ সালের ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট একই মামলায় তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh