অসতর্কতা বশত কুফরি করলে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান না রাখা, আল্লাহর আদেশ নিষেধ অমান্য করা,আল্লাহর সাথে কাউকে শিরিক করাকে কুফরি বলে। শরীয়তের পরিভাষায় ঈমানের বিপরীত অবস্থানকে কুফুরি বলা হয়। যে কুফরি করে তাকে কাফের বলে।

যদি কোন ইমানদার ব্যক্তি নিজের অজান্তে অসতর্কতা বশত: কুফরি কথা উচ্চারণ করে ফেলে তবে সে কাফের হিসেবে গণ্য হবে না ইনশাআল্লাহ। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা হঠাৎ অনিচ্ছাবশত: কোন ভুল করে ফেলি তবে আমাদেরকে ধরিও না।’ (সূরা বাকারা: ২৮৬)

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার উম্মতের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল, স্মরণ না থাকার কারণে ঘটে যাওয়া অন্যায় এবং জোরজবরদস্তি করে কৃত অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ: ২০৪৩; সহীহ ইবন হিব্বান: ৭১৭৫, বায়হাকি-হাসান)

তবে রাগের বশে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে কুফরি কথা বলে ফেললে তা মারাত্মক অন্যায় ও কুফরি মূলক গুনাহ। তবে যখনই বুঝতে পারবে যে, অসতর্কতা বশত, কুফরি কথা বলে ফেলেছে, তখনই কাল বিলম্ব না করে তওবা করে নিতে হবে। এবং নতুনভাবে কালিমা পড়ে নিতে হবে।

আর এমন ব্যক্তি বিবাহিত হলে বিয়ে নবায়ন করে নেওয়া উচিত। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ৪/৩৮৩, মাজমাউল আনহুর : ২/৫০৪, আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩৪৩, রদ্দুল মুহতার : ৪/২২২, ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম : ১২/৩৪৩)

কারো দ্বারা যদি এমনটি হয়ে গেলে তার করণীয় বিষয়ে আলেমরা বলেন, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হৃদয়ে আল্লাহর কাছে তওবা-ইস্তিগফার করা এবং নেকির কাজ করা (যেমন: ওজু করে দু রাকআত তওবার সালাত আদায়, দান-সদকা, নফল রোজা ইত্যাদি। তাহলে দয়াময় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন বলে আশা করা যায়-ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় নেকির কাজ গুনাহ সমূহ দূর করে দেয়।’ (সূরা হুদ: ১১৪)

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh