ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৫০ পিএম
প্রতীকী ছবি
ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় মো. শামসুদ্দিন (৫৫) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত শামসুদ্দিন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্তা সরকার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি সঞ্জিব সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহত রফিজ উদ্দিন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আসামি শামসুদ্দিন ও রফিজ উদ্দিন প্রতিবেশী।
ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১০ মে রফিজ উদ্দিন আসামি প্রতিবেশী শামসুদ্দিনের বাড়ির সামনে বসে বাশের ছাটাই বুনন করছিলেন। এসময় রফিজ উদ্দিনের স্ত্রী তাকে গুড়ের খুরমা খেতে দেন। খুরমা খেয়ে রফিজ উদ্দিনের পানির পিপাসা লাগলে শামসুদ্দিনের রান্না ঘর থেকে এক গ্লাস পানি পান করেন। কেন তার রান্না ঘরে ডুকে পানি পান করল এসব নিয়ে দুইজনের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শামসুদ্দিন লোহার শাবল দিয়ে রফিজ উদ্দিনের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। এতে রফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে শামসুদ্দিন শাবল নিয়ে পালাতে চাইলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফকিরগঞ্জ বাজারে গেলে মোস্তফা নামে একজন তাকে আটকায়। পরে শামসুদ্দিন তাকে আটকানোর কারণে মোস্তফাকেও শাবল দিয়ে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা শামসুদ্দিন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার পর ওই দিন শামসুদ্দিনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এর পর থেকে শামসুদ্দিন কারাগারেই ছিলেন। মামলার ৭ বছর পর আসামির উপস্থিতিতে আদালত শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।