‘বিমান যাত্রী দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৮ পিএম | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৯ পিএম

বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট। ছবি: সংগৃহীত

২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে সরকার বেসামরিক বিমানের পরিবহনের জন্য বেশ কয়েকটি নীতি প্রবর্তন ও নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্কার করেছে উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ‘আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী পরিবহন দ্বিগুণ করতে চাচ্ছি। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলটি বৃহত্তম বিমান পরিবহণ বাজারে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ 

আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে কোঅপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট অব অপারেশনাল সেফটি অ্যান্ড কন্টিনিউইং এয়ারওয়ার্র্দিনেস প্রোগ্রাম, সাউথ এশিয়া (সিওএসসিএপি-এসএ)’র ৩০তম স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিন দিনের এই সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, আফগানিস্তান ও আয়োজক বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)-এর উচ্চ পদস্থ আঞ্চলিক প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে বিনিয়োগ এখন ব্যয় সাশ্রয়ী। 

তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী সময় মতো বেসামরিক বিমান অবকাঠামো সম্প্রসারণ, যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি, কারিগরি ও মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন বিমান যাত্রা নিশ্চিতে কাজ চলছে। বাংলাদেশকে একটি প্রধান বিমান কেন্দ্র ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রধান গন্তব্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের বিমান রুটের একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে- যা বাংলাদেশে ও বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণের উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কারণেই বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধির এই সুযোগ এসেছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জিডিপি’র প্রায় ০.০৮ শতাংশ এই বেসামরিক বিমান পরিবহণ খাত থেকে এসেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে, ২০৩৮ সাল নাগাদ বিমান পরিবহনে বাংলাদেশ আরো ১২.১ মিলিয়ন যাত্রী বহনে সক্ষম হবে। যার ফলে মোট যাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২২ মিলিয়নের বেশি।

মাহবুব বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিমানখাত থমকে গেলেও বর্তমানে বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান জিডিপি ও ব্যবস্থাপনা এ খাতের বিনিয়োগে উৎসাহ যোগাচ্ছে।  

তিনি বলেন, ‘সরকারের দূরদর্শী পদক্ষেপ ও আইসিএও’র দিকনির্দেশনায় আমরা এ্যাভিয়েশন কমিউনিটির বিভিন্ন অংশীজনের আস্থা অর্জন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, অগ্রগতি অর্জনের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতাই মুখ্য।’

সূত্র: বাসস

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh