অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৪ এএম
লেপার্ড–টু ট্যাংক। ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে অচলাবস্থা কেটেছে। মাসখানেক ধরে চলা আলোচনার পর রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনে লেপার্ড–টু ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এমনকি অন্য কোনো দেশ পাঠালেও তারা বাধা দেবে না বলে জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনে ১৪টি লেপার্ড–টু ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেকোনো সময় এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি এম-১ আব্রাম ট্যাংক পাঠানো হবে ইউক্রেনে। শিগগিরই এ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন তাদের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করতে পারে। এদিকে পোল্যান্ডও ১৪টি লেপার্ড-টু ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর কথা জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অনুসারে, অন্তত ১৬টি ইউরোপীয় ও ন্যাটো দেশের কাছে লেপার্ড–টু ট্যাংক রয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্যাংকের সম্ভাব্য চালান রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ওয়াশিংটন ও বার্লিন উভয়ের ওপরই ট্যাংক সরবরাহ ঘোষণার জন্য অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপ ছিল।
বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে আব্রাম ট্যাংক সরবরাহের ঘোষণা আসতে পারে স্থানীয় সময় আজ বুধবারই।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ৩০ থেকে ৫০টি আব্রাম ট্যাংক পাঠাতে পারে। যদিও ঠিক কবে নাগাদ এই ট্যাংক পাঠানো হবে, সে বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জার্মান কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলে আসছিলেন যে তারা ইউক্রেনে তখনই লেপার্ড-টু পাঠাতে রাজি হবেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র আব্রাম ট্যাংক পাঠাতে সম্মত হয়। কিন্তু দুই দেশের কর্মকর্তারাই ট্যাংক সরবরাহে আমেরিকা-জার্মানির যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেন।
বাইডেনের ঘনিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস কুনস গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, যদি জার্মানরা বলতে থাকে যে আমেরিকানরা আব্রাম পাঠাবে, সেই শর্তে আমরা কেবল লেপার্ড-টু পাঠাব, তাহলে আমাদের আব্রাম ট্যাংক পাঠানো উচিত।