চাহিদা বেড়েছে বিষমুক্ত শুঁটকির

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫০ এএম

কচা নদীর পাশের চরে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শুঁটকি। ছবি: সংগৃহীত

কচা নদীর পাশের চরে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শুঁটকি। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে। উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর-সংলগ্ন কচা নদীর পাশের চরে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শুঁটকি। স্থানীয়ভাবে তৈরি এ শুঁটকিতে বিষ বা রাসায়নিক পাউডার দেওয়া হয় না বলেই এ শুঁটকির সুনাম এবং চাহিদা বেড়েছে।

গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে পাড়েরহাটে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর থেকে সংগৃহীত মাছ থেকে শুঁটকি তৈরি করা হয়। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চলে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢেলা, পাইসা, ছুরি, লইট্যা ও ডুম্বুরা মাছের শুঁটকি প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। অন্যান্য শুঁটকি পল্লীতে মাছের খাদ্য তৈরির শুঁটকি উৎপাদিত হলেও পাড়েরহাটে শুধু মানুষের খাওয়ার শুঁটকি উৎপাদিত হয়। জানা যায়, পাড়েরহাটের বাদুরা এলাকার আকিজুল বেপারী এক একর জমির ওপর এ শুঁটকি পল্লী নির্মাণ করেছেন। ছয় বছর ধরে শুঁটকি তৈরি করছেন। তার শুঁটকি পল্লীতে ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন।

আকিজুল বেপারী জানান, শুঁটকি উৎপাদনে বিষ বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন না। আড়ত থেকে মাছ কিনে লবণ পানিতে একদিন ভিজিয়ে রাখেন। এরপর বাঁশের তৈরি মাচা এবং বেড়ায় মাছ শুকাতে দেন। আট থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাঁচা মাছ শুঁটকিতে পরিণত হয়। তিনি বছরে প্রায় ৮০০ থেকে এক হাজার মণ শুঁটকি তৈরি করেন।

তার উৎপাদিত শুঁটকি কক্সবাজারের বিভিন্ন আড়তে পাইকারি বিক্রি হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তপন কুমার ব্যাপারী জানান, শুঁটকি উৎপাদনে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেওয়া হয়। পাড়েরহাট মৎস্যবন্দরে বিষ বা রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়া শুঁটকি উৎপাদন করা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh