১২৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘টিএফপি’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত মাউশির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাধ্যমিক স্তরের ১২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘টোটাল ফিটনেস প্রোগ্রাম (টিএফপি)’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাউশি।

টিএফটি বাস্তবায়নে পাইলটিং ভিত্তিতে সব জেলার একটি সরকারি বালক ও একটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট ১২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (বিশেষ শিক্ষা) সৈয়দ মইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘টোটাল ফিটনেস প্রোগ্রাম (টিএফপি)’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাইলটিং ভিত্তিতে সব জেলার একটি সরকারি বালক ও একটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট ১২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী আয়োজনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনাগুলো—

১. জেলা শিক্ষা অফিসাররা স্থানীয় সমন্বয়ক এবং উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা সহকারী স্থানীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা কর্মশালা আয়োজনের ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন এবং প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

৩. প্রতিষ্ঠান প্রধানের নেতৃত্বে সব শিক্ষক স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজনে সহযোগিতা করবেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন (পরবর্তীতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা এ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনার আলোকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন)।

৪. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।

৫. প্রতিষ্ঠানগুলো স্ব স্ব ভেন্যুতে কর্মশালার আয়োজন করবে।

৬. স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষকরা এ কর্মশালা পরিচালনা করবেন। ইতোমধ্যেই জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষকদের নাম ও ফোন নম্বর সম্বলিত তালিকাপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।

৭. ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তাদের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষকদের টিম লিডারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং কর্মশালার তারিখ, দুই জন প্রশিক্ষকের নাম ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবেন।

৮. ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো একদিন দিবসব্যাপী (সকাল ৯টা বিকেল ৫টা) কর্মশালাটি আয়োজন করতে হবে। এই সময়কালের মধ্যে যেকোনো শুক্রবার/শনিবার কিংবা অন্যকোনো বন্ধের দিনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত করা যেতে পারে।

৯. প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পরবর্তীতে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের সুবিধার্থে বা প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য প্রশিক্ষক ও অংশগ্রহণকারীদের সংযুক্ত করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলবেন।

১০. অঞ্চল পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য বালক বিদ্যালয়ের কর্মশালায় মাউশির অঞ্চল, জেলা ও নির্বাচিত বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট মহানগর থানা/উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন (অঞ্চলের পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করবেন)।

১১. জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য বালক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মাউশির জেলা ও নির্বাচিত বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সদর উপজেলা/থানা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন (জেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন)।

১২. ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে সব জেলা শিক্ষা অফিসার, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের তালিকাপত্রে সংযুক্ত ‘প্রতিবেদন ছকে’ [email protected] মেইলে প্রেরণ করবেন।

১৩. যেকোনো তথ্য/পরামর্শের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রয়োজনে জেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।

১৪. এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আঞ্চলিক পরিচালক, উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক), জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এবং সার্বিক বিষয়ে তদারকি করবেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh