রাজীব কিষাণ
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:০০ পিএম
কবিতা। ছবি: সংগৃহীত
দু’চোখে কপোতাক্ষের মতোন দেখতে পায় তল
দু’ভ্রুতে টানি রেখাকৃতির দূর্বার জ্যামিতি
কপালের টিপে হাসে পূর্ণিমার চাঁদ
ঠোঁটের কোমলতায় ব্যাগ্র পৃথিবীর তাবৎ ইতিহাস
মুক্তোর দানা হয়ে ঝরে।
বুক জোড়া পাহাড়ের সুঁচালো বৃত্ত
গড়িয়ে পড়ে নাভীমূলে,
পৃথিবী গোলাকার- গোল চক্কর প্রমাণে
একটি দীর্ঘশ্বাসে ভূকম্পন জাগে
কোনো এক পুরুষ দীপ্ত শরীরে।
তারপর...
জেগে ওঠা সদ্য সবুজের ক্ষেতে
ঝরে কোনো এক পাহাড়ি ঝরণা।
উরুতে সমুদ্রের মাতম দোলে
অছড়ে পড়া এক একটি ঢেউ
কোনো এক গাছের অঙ্কুরিত পদাবলী
ঘনকালো এলো কেশে আঁধার নামে
বাতাসে কাল বৈশাখীর ঝড়।
নরম পায়ের কোমলতলায় চিহ্ন এঁকে দেওয়া
সার্বভৌমত্ব; পৃথিবীর তাবৎ ইতিবৃত্ত
সুনিপুণ গড়েছেন ঈশ্বর নারী, পৃথিবীর অবয়ব।