আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:২৭ পিএম
পাকিস্তানের পেশোয়ারে পুলিশ লাইন মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। ছবি: এএফপি
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের পুলিশ লাইন মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরো ১৫৭ জন। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ইতোমধ্যে ভয়াবহ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশোয়ারের পুলিশ লাইন্স এলাকার একটি মসজিদে আত্মঘাতী এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তারা জানান, সোমবার পুলিশের দুটি চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশ করেন হামলাকারী। মসজিদটিতে জোহরের নামাজ চলাকালে সামনের কাতারে ছিলেন তিনি।
খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান পেশোয়ারের সব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোকে ত্রাণ তৎপরতা দ্রুত করার নির্দেশও দিয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে জানান, তিনি যখন মসজিদে যাচ্ছিলেন তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। এটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয় চারপাশ। তিনি আরও জানান, তার জ্ঞান ফিরলে মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়তে দেখেন।
সিভিল সেক্রেটারিয়েট অ্যাসোসিয়েশন পেশোয়ারের সভাপতি তাসাভুর ইকবাল বলেন, আমি নিয়মিত ওই মসজিদে নামাজ পড়ি পুলিশ লাইন্স এলাকার নিরাপত্তা সবসময়ই কড়া থাকে। এমনকি পরিচয় দেওয়া ও দেহ তল্লাশি ছাড়া কেউই ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটি একটি বড় মসজিদ, যেখানে একই সময়ে চারশো-পাঁচশো মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। বিস্ফোরণের পর ভবনটি ধসে পড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একটি মসজিদের ভেতরে আত্মঘাতী বোমা হামলা প্রমাণ করে, ইসলামের সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িতদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, টুইটারে এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।
সূত্র: বাসস