বই উৎসবে মেতেছে পাহাড়ের শিশুরা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:১৪ পিএম

নতুন বইয়ের ছোয়া পেতে সকাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটে এসেছে শিশু শিক্ষার্থীরা। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

নতুন বইয়ের ছোয়া পেতে সকাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটে এসেছে শিশু শিক্ষার্থীরা। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

পুরোনো বছরের জীর্ণতা ও সব গ্লানিকে পেছনে ফেলে ২০২৩ খ্রিস্টীয় বছর স্বাগত জানাল। আর নতুন বছরের উদযাপন আরো সমৃদ্ধ হয়েছে দেশজুড়ে বই উৎসবের মধ্য দিয়ে। নতুন বইয়ের ছোয়া পেতে সকাল থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটে এসেছে শিশু শিক্ষার্থীরা। অবশেষে বই উৎসব উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ পেলো ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি জেলা শহরে অবস্থিত বনরূপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবারের বই উৎসবের উদ্বোধন করেছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। এসময় বই উৎসবে তার সাথে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস (ডিপিইও) মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বই উৎসবে অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, বছরের প্রথমদিনে শিশুদের হাতে হাতে বই পৌঁছাতে পেরেছি, সেজন্য আমরা গর্ববোধ করছি। পাশাপাশি আমাদের তিন পার্বত্য জেলার চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষাভাষী শিশুদের মাতৃভাষায় বই দেয়া হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তিনি আরো বলেন, মাতৃভাষায় বই পেলেও এখনো তাদের সিলেবাস (পাঠক্রম) পদ্ধতি চালু হয়নি। এটা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, মাতৃভাষার শিক্ষায় পরীক্ষা পদ্ধতির বিষয়টি এখনো আমাদের গাইডলাইনে আসেনি। এটি নিয়ে আলোচনা করে গাইডলাইন মোতাবেক পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা যায় কিনা সে বিষয়টি আমরা দেখছি।

এদিকে, আজ সকাল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার সব উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

ডিপিইও কার্যালয় তথ্যমতে, এ বছর জেলায় সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৯ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৯টি বই বিতরণ করা হচ্ছে। 

অন্যদিকে, জেলার চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ২৯ হাজার ৮০৬ শিক্ষার্থীকে ৬৭ হাজার ৭৫০টি মাতৃভাষার বই দেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চাকমা ভাষার বই দেয়া হচ্ছে ৫৩ হাজার ২২৪টি, মারমা ভাষার বই দেয়া হচ্ছে ১০ হাজার ৮২১ ও ত্রিপুরা ভাষার বই দেয়া হচ্ছে ৪ হাজার ১০১টি। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা তিন ভাষাভাষী শিক্ষার্থীদের প্রাক-প্রাথমিকে দুইটি বই, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে তিনটি এবং তৃতীয় শ্রেণিতে একটি করে বই থাকবে।

উল্লেখ, ২০১৭ সালে থেকে দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের মাতৃভাষায় পাঠদানের জন্য বই বিতরণ করে আসছে সরকার।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh