মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৯ পিএম
পরিযায়ী পাখি। ছবি: প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলার সত্যপুর গ্রামে এখন পরিযায়ী পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। এ গ্রামের ঠাকুরবাড়ি এলাকায় কয়েকটি গাছে গত এক বছর ধরে অবস্থান করছে শত শত পরিযায়ী পাখি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সত্যপুর গ্রামে ঠাকুরবাড়ি এলাকার বড় বড় গাছগুলোতে বসেছে পরিযায়ী পাখির দল। বিশেষ করে বিকাল হলেই বিভিন্ন এলাকার মাঠ থেকে পাখিরা এসব গছের শাখায় অবস্থান নিচ্ছে।
সত্যপুর গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম জানান, গত ৭ বছর ধরে পাখিগুলো তাদের গ্রামে আসতে শুরু করে। তারা ঠাকুরবাড়ি এলাকার বড় গাছগুলোতে অবস্থান করছে। প্রথম দিকে পাখিগুলো শীত মৌসুমে এসে চলে যেত। কিন্তু গত বছর থেকে এগুলো ১২ মাস ধরে সত্যপুর গ্রামে অবস্থান করছে। এলাকাবাসী পাখিগুলো সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
একই গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, তারা এলাকায় পাখি নিধন নিষিদ্ধ করেছেন। এ কারণে পাখিগুলো খুব নিরাপদে এই গ্রামে অবস্থান করতে পারছে। সারা দিন তারা বিভিন্ন মাঠে খাবার গ্রহণের পর বিকালে আবার নির্দিষ্ট গাছে ফিরে আসে। এগুলো দেখতে প্রতিদিন বিকালে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করে। এগুলো ফসলি ক্ষেতের পোকামাকড় দমনে ভূমিকা রাখে।
সত্যপুর গ্রামের কলেজছাত্র প্রদীপ চক্রবর্তী জানান, পাখিগুলো এলাকার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক শোভাকে সমৃদ্ধ করেছে। এটা এখন সত্যপুর গ্রামের সম্পদ। যে কারণে সবাই এগুলো সংরক্ষণে সমানভাবে উদ্যোগী হয়েছে।
সত্যপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমান বলেন, পাখিগুলো ঝড় বৃষ্টির সময় খুব সমস্যায় পড়ে। এ কারণে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উচিত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া।
পার্শ্ববর্তী আড়ুয়াকান্দি গ্রামের গোলাম নবী বলেন, আমরা এখানকার অতিথি পাখির কথা শুনে দেখতে এসেছি। এগুলো দেখে খুব ভালো লাগল। এটা আমাদের এলাকার সম্পদ।
মাগুরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাদিউজ্জামান বলেন, আমরা সত্যপুর গ্রামের অতিথি পাখির সংরক্ষণে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। শুধু সত্যপুর নয় গোটা জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাখি নিধনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা প্রচারপত্র ও বিভিন্ন ধরনের ব্যানার সরবরাহ করেছি।