নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৯ পিএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:০১ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ মরণোত্তর দেহ গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
দেশ বরেণ্য স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের (৭৯) মরণোত্তর দেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ মরণোত্তর দেহ গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিদেহীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মরদেহটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে সংরক্ষণ, শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজে ব্যবহারের অনুমতিপত্রটি বিভাগীয় চেয়ারম্যানের নিকট প্রদান করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এই ধরণের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা এবং মরণোত্তর দেহ দানকারী নিকট আত্মীয়সহ পরিবারের সকলকে এই ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দেশের সকল মানুষের প্রতি এইরকম মহতী কাজে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের ছেলে সাঈদ হোসেন তমাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা বিএসএমএমইউর কাছে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মরণোত্তর দেহ হস্তান্তর ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। বহু মুক্তিযোদ্ধা পরবর্তীতে সাধারণ হিউম্যান হয়ে গেছেন। তিনি সাধারণ হিউম্যান হতে পারেননি। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি তার দেহদান করে গেছেন।
মরদেহের এমবামিং প্রক্রিয়ার প্রারম্ভে এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানুর পরিচালনায় এবং এনাটমি বিভাগের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণে মরদেহের যথোচিত সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য শপথ গ্রহণ করা হয়।
গত রবিবার (১ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন মোবাশ্বের হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি ছিলেন মোবাশ্বের হোসেন। নাগরিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন তিনি।