পুঠিয়ায় হেলমেট বাহিনীর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম

পুঠিয়া থানা। ছবি: পুঠিয়া প্রতিনিধি

পুঠিয়া থানা। ছবি: পুঠিয়া প্রতিনিধি

রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কথিত হেলমেট বাহিনীর অগ্নিসংযোগ, ভোটদানে বাধা, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এতে যুবলীগের নেতাকমীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) পুঠিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বাদী মামলা বিস্ফোরণ আইনে দুটি মামলা করেন। আরেকটি অস্ত্র উদ্ধারের মামলা করে পুলিশ। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর উপজেলার শিলমাড়িয়া ও ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর শেষ মুহূর্তে ভোটকে কেন্দ্র করে কথিত হেলমেট বাহিনীর লোকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের একাধিক নির্বাচনী দপ্তর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। সেই সঙ্গে ওই গ্রুপটি ভোটের দিন একাধিক কেন্দ্রের সামনে ককটেল নিক্ষেপ এবং পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতাসহ পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। 

নাম গোপন রাখার শর্তে থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে যত অঘটন ঘটেছে, তার মূল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামান। তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোণঠাসা করতে কথিত হেলমেট বাহিনী দিয়ে এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে ভোটের দিন বিকেলে তাদের লোকজন দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রগুলো শিবপুরহাট বিহারীপাড়া গণকবরস্থানে ফেলে রেখে যায়। আর এসব ঘটনায় পুলিশের তদন্তে ওই যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের নাম উঠে এসেছে।’

তবে পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘একটি পক্ষ আমাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ সকল অপকর্মের সঙ্গে আমি জড়িত নই। তবে ভোট কেমন হচ্ছে, তা ওই দিন দেখতে গিয়েছিলাম। পরে লোকমুখে শুনেছি, আমার নামে নাকি থানায় নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh