মো. ফজলুল হক, পাবনা
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০১ পিএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
ফুটপাতে পুরানো গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি
পাবনাসহ চলনবিল অঞ্চলে পৌষের তীব্র শীত ও কুয়াশায় কাহিল হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। কনকনে শীত আর উত্তরের শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত।
শীতের কারণে বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। ফুটপাতে পুরানো গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে। বেচাকেনাও বেড়েছে। শীত নিবারণে সাশ্রয়ী মূল্যে গরম কাপড় কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। শীত যতই ঘনিয়ে আসছে দিন দিন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতিও বাড়ছে।
পাবনা শহরের ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতের পুরনো কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু মার্কেটে ক্রেতা কম।
ফুটপাতের দোকানদার আলিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেকটা বেশি।
ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন জানান, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবার কারণে বেচাকেনা বেড়েছে।
ক্রেতা আ. আলিম জানান, এ বছর গরম কাপড়ের চাহিদা বেশি। তারপরও পরিবারের সবার জন্য কাপড় কিনতে হচ্ছে। যেভাবে শীত বেড়েছে। সন্ধ্যার পর বের হওয়াই মুশকিল। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। দিনেও আগের মতো গরম নেই। বিকেল গড়ালেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে।
এদিকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে জনপদ। এ অঞ্চলে সূর্যের দেখা মেলে না বললেই চলে। তাপমাত্রা কমে আসায় শীতে নাকাল এ জনপদের মানুষ। গ্রাম এলাকার মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
তবে চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগের কোন সহযোগিতা পায়নি গরীব অসহায় ও নিম্নআয়ের মানুষ।
এ বিষয়ে পাবনা চেম্বার অব-কমাসের পরিচালক এবিএম ফজলুর রহমান জানান, এবার খুব শীত সেজন্য পাবনায় শীতের পোশাকের চাহিদাও বেশি। তবে এ সুযোগে কোনো ব্যবসায়ী বাড়তি দাম যাতে না নিতে না পারে, সেজন্য বাজার মনিটরিং করা হবে।