ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

নোয়াখালীর সেনবাগে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পতাকা হাতে নেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। 

আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাইলট স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপজেলার সেনবাগ পৌরসভা চত্ত্বর সংলগ্ন পাইলট স্কুল মাঠে এসে উপস্থিত হন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে র‌্যালি শুরু করতে গেলে পতাকা হাতে নেওয়া কে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষই ইট, বাঁশ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।

সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক তানভীর বলেন, বর্তমানে সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই।  ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন,সংঘর্ষ হয়নি।  নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটি হয়েছে। কোনো নেতাদের মধ্যে নয়, আমাদের কর্মীদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এটা একদম সিম্পল বিষয়। প্রোগ্রাম শেষ করে আপাতত সবাইকে সবার মত করে বিদায় দেওয়া হয়েছে। কী সমস্যা হয়েছে জানার জন্য এটা নিয়ে আমরা সন্ধ্যায় বসব।  

সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগান বলেন, র‌্যালিতে জুনিয়রদের মধ্যে তর্কবিতর্ক নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জের ধরে হাতাহাতি হয়েছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। এরপর সবাই যার যার অবস্থানে চলে যায়। ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।  এজন্য কার কার মধ্যে এই ঘটনা হয়েছে তা আমি বলতে পারছি না।  

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মানিক বলেন, তেমন সিরিয়াস কেউ আহত হয়নি। নরমাল কতজন আহত আছে তা আমি বলতে পারব না। আমি ঢাকা আছি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, সংঘর্ষ হয়নি। পতাকা কার হাতে থাকবে এটা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও ঠেলাঠেলির ঘটনা ঘটেছে। ইটের টুকরার আঘাতে দুই-একজন আহত হয়েছেন। আহতদের নাম ঠিকানা জানা নেই। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।