শিক্ষক নিয়োগে টাকা লেনদেনের অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:২১ পিএম

পুরনো শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পুরনো শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহলে প্রতিষ্ঠিত দইখাতা নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির ঘোষণার পর প্রতিষ্ঠানটির ৭ বছর চাকরি করে আসা পুরনো পাঁচজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

জনপ্রতি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল ও প্রধান শিক্ষক মোজাহেদুল ইসলাম গোপনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে নতুন নিয়োগকৃত শিক্ষকদের তালিকা প্রেরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। 

আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকদের পক্ষে রাসেল হোসেন।

তারা জানান, বিলুপ্ত ছিটমহলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কেউ এগিয়ে না এলেও তারা মোটা অঙ্কের ডোনেশন দিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছিলেন। তাদের পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি খুব অল্প সময়েই এমপিওভুক্ত হয়। গত বছর এমপিওভুক্ত ঘোষণার পর শুরু হয় ষড়যন্ত্র। গোপনে বিদ্যালয়ের সভাপতি আর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ত্যাগী ও পরিশ্রমী শিক্ষক রাসেল হোসেন, গোকুল চন্দ্র রায়, আয়েশা খাতুন, শাহনাজ পারভীন ও মজিবুল ইসলামকে বাদ দিয়ে রাতারাতি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাদের নামের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে অধিদপ্তরে। দীর্ঘদিন শ্রম দিয়ে আসা শিক্ষককে এমন অমানবিকভাবে বাদ দেওয়ায় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের অনিয়ম তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এদিকে বিদ্যালয়ের নামে ২ বিঘা জমি স্টাম্পে লিখে দিয়ে নিজের সন্তানকে চাকরি নিয়ে দেন আমজাদ আলী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তবে সেই দুই বিঘা জমি বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল নিজের নামে নিয়ে বিদ্যালয়ে দান করে নিজেই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বনে যান বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে আমজাদ আলীকে সেখানে দাতা সদস্য রাখা হয়নি বলে জানান তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধন না থাকায় তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এখানে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন হয়নি।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল বলেন, আমজাদ আলী নামে ওই ব্যাক্তির অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি জমির বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন। কোন জমি দান করেননি।

কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের বিষয়ে নানা অভিযোগ পেয়েছি। কয়েকজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্যদের নিয়োগ দেয়ার কথা জানতে পেরেছি। এছাড়া আমজাদ আলী নামে এক লোকের জমি বিদ্যালয়ের নামে দানের পরেও তাকে দাতা না করে অন্য একজন দাতা হয়েছেন মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে শীঘ্রই জানাবো।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh