কাঙ্ক্ষিত মুনাফা পাচ্ছেন না চা চাষিরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:২২ পিএম

 চা পাতা তুলছেন চাষিরা। ছবি: সংগৃহীত

চা পাতা তুলছেন চাষিরা। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটে চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। সে কারণে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে পঞ্চগড় জেলায় গিয়ে চা পাতা বিক্রি করতে হয়। কিন্তু দীর্ঘসময় পরিবহনের ফলে পাতার গুণগতমান নষ্ট হওয়ায় লালমনিরহাটের চাষিরা চা কোম্পানির কাছে কম দামে কাঁচা চা পাতা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে চা পাতার দাম নিয়ে চাষিরা হতাশ।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের লালমনিরহাট আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ২০১৬ সাল থেকে চা চাষ শুরু হয়। ২১০ একর জমিতে ১১৬ জন চাষি চা চাষ করেন। জেলাজুড়ে ১২৫টি চা বাগান থেকে প্রতিমাসে ৭০ হাজার কেজি করে কাঁচা পাতা উৎপাদিত হচ্ছে। 

গত বছর এ জেলায় ৬ লাখ ৫০ হাজার কেজি কাঁচা পাতা উৎপাদিত হয়েছিল। চলতি বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার কেজি। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ কেজি পাতা বিক্রি হয়েছে।

তবে দিন দিন পাতার উৎপাদন বাড়লেও লালমনিরহাটের চা চাষিরা কাঙ্ক্ষিত মুনাফা পাচ্ছেন না। লালমনিরহাটে চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রতিষ্ঠান না থাকায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে পঞ্চগড় জেলায় চা পাতা বিক্রি করতে গেলে পাতার গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চা কোম্পানির কাছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাপাতা বিক্রি করতে হচ্ছে।

চা প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলার চাষি তৈয়েবুর রহমান বলেন, এখানে যদি চাপাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান থাকত, তাহলে পাতা পরিবহন খরচ হতো না। পাতার গুণগতমানও নষ্ট হতো না। পরিবহন খরচ ও ছাড়ের কারণে প্রতি কেজি চা পাতায় ৬ টাকা খরচ হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি কেজি চা পাতা ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে আশানুরূপ মুনাফা হতো।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের লালমনিরহাট আঞ্চলিক অফিসের প্রকল্প পরিচালক আরিফ খান বলেন, পরিবহন খরচ ও ছাড় দিয়ে কাঁচা চা পাতা বিক্রি করায় লালমনিরহাটের চা চাষিরা কাঙ্ক্ষিত মুনাফা পাচ্ছেন না। প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পথ পরিবহন করায় চা পাতা রাস্তায় জ্বলে যায়। এতে পাতার গুণগতমান ঠিক থাকে না। 

এ কারণে ছাড়ে এসব পাতা বিক্রি করতে হয়। তবে এসব সমস্যা থাকবে না যদি লালমনিরহাটে একটি চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যায়। এ ক্ষেতে আমরা প্রথমে বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য প্রাধান্য দিচ্ছি। এ ছাড়া এ অঞ্চলে চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ড খুব গুরুত্বের সঙ্গে চেষ্টা করছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh