অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১০ এএম
ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ। ফাইল ছবি
হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডার দিন শেষ। দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত। সকালে ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দু আর বিকেলে হালকা শীত প্রকৃতিতে স্নিগ্ধতা। এমন নির্মল সকালে আপনাদের প্রিয় পত্রিকা সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ১০ বছরে পা দিচ্ছে। ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের শুভেচ্ছা এবং অভিবাদন গ্রহণ করুন। আপনারা আমাদের পাঠক, আপনারা আমাদের বন্ধু। লেখক, পাঠক, হকার, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় আমরা হাঁটি হাঁটি পা পা করে সামনে এগিয়ে চলেছি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভিন্ন চিন্তা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বিগত বছরগুলোতে নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও সাম্প্রতিক দেশকাল তার নীতি থেকে এক চুলও নড়েনি। পাঠকের ভালোবাসায় সাম্প্রতিক দেশকাল এখন দেশের এক নম্বর সাপ্তাহিক। আমাদের পরিবারেই আরেক সদস্য ‘ত্রৈমাসিক দেশকাল পত্রিকা’ ইতোমধ্যে দেশের রুচিশীল ম্যাগাজিন হিসেবে পাঠকের মনে জায়গা দখল করেছে। দেশকাল পত্রিকা ই-ম্যাগাজিন আকারে পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনেও। সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকালও ছাপার অক্ষরের পাশাপাশি ই-পেপারে পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক দেশকাল ডটকম, সাম্প্রতিক দেশকালের ফেসবুক পেজ, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ভিডিও-ডিজিটাল মাধ্যমের সব কটিতেই ২৪ ঘণ্টা সদা সক্রিয়। এ বছর নতুন করে যুক্ত হয়েছে দেশকাল লাইভ। আমাদের রয়েছে অত্যাধুনিক স্টুডিও। দিনের খবর ও নানা বিশ্লেষণ আমরা স্টুডিও থেকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। দেশকাল পাবলিকেশন্সের অধীনে এখন প্রকাশ হচ্ছে সাম্প্রতিক দেশকাল। পাবলিকেশন্স বের করেছে নানা বই।
মাত্র দুই বছর আগে, করোনার কালো দিনগুলোয় আমরা আমাদের এসব কার্যক্রম এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ করিনি। করোনা থাবায় যখন অনেক গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তখনো আমরা পাঠকের সঙ্গেই ছিলাম। আমরা বেঁচে থাকব কি না, আবার কবে ঘর থেকে বের হতে পারব, সেটাই ছিল অনিশ্চিত। তবু আমরা থেমে থাকিনি। আর এটি সম্ভব হয়েছে সাম্প্রতিক দেশকালের পৃষ্ঠপোষক রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর অনুপ্রেরণায়। তিনি সব সময় আমাদের সাহস দিয়েছেন, পথ দেখিয়েছেন।
জনৈক মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী বলেছিলেন, টুইন টাওয়ার ধ্বংসের আগের পৃথিবী আর পরের পৃথিবী এক থাকবে না। থাকেওনি। করোনা সংক্রমণের আগের পৃথিবী ও পরের পৃথিবীও আমাদের চোখের সামনে একই সত্য সামনে নিয়ে এসেছে। সারা পৃথিবীতে অর্থনীতি চরম সংকটে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সেই সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে।
ফেলে আসা বছরটির ব্যর্থতা যেমন আমাদের আশাহত করে, তেমনি সাফল্য ভবিষ্যতের পথচলায় প্রেরণা জোগায়। নির্বাচনের বছরে সাম্প্রতিক দেশকাল দশম বছরে পা রাখছে। এ সময়টা আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে যাব, কারণ আমাদের যাত্রাপথে অগণিত বন্ধু ও সুহৃদ পেয়েছি। তাদের জ্ঞান, মেধা ও লেখনী সাম্প্রতিক দেশকালকে ঋদ্ধ করছে, আলোকিত করছে সমাজ ও মানুষকে। আমরা যার স্বপ্নকে ধারণ করে এত দূর পাড়ি দিয়েছি তিনি সাম্প্রতিক দেশকালের উপদেষ্টা মো. জাহেদ হোসেন মুসা মিয়া। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তিন বছর হয়ে গেল। আজ তার জন্মদিন। শিল্পসাহিত্যপ্রেমী এ মানুষের জন্মদিনেই সাম্প্রতিক দেশকাল যাত্রা শুরু করেছিল। আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
আজকের দিনে বলতে চাই, শুরুর সময়ের সেই অঙ্গীকার আমরা এখনো ভুলিনি। আমরা আরও দায়িত্বশীল হব দেশ ও মাটির টানে। আমাদের চিন্তা ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
-ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ
সম্পাদক ও প্রকাশক, সাম্প্রতিক দেশকাল।