সাম্প্রতিক দেশকাল বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার নজির রেখে চলেছে : মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩১ এএম | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৭ এএম

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যম দেশ গঠনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশে এটি সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে প্রকাশের স্বাধীনতা অত্যস্ত সংকুচিত। সেন্সরশিপ ও সেল্ফ সেন্সরশিপের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আক্রমণের শিকার হচ্ছে গণমাধ্যম। নানা ধরনের নিবর্তনমূলক আইনের মাধ্যমে কিংবা প্রশাসনিকভাবে সাংবাদিকদের হেনস্তা করা হচ্ছে, চালানো হচ্ছে নিপীড়ন নির্যাতন। যে কাউকে যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সর্বোপরি সমাজে একটি ভয়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, এ সকল কারণে আন্তর্জাতিক মহলেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশের এই দুঃসময় ও গণমাধ্যমের চরম সংকটকালে ‘সাম্প্রতিক দেশকাল’ ১০ম বছর পদার্পণ করেছে, এটি অবশ্যই আনন্দের বিষয়। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ‘সাম্প্রতিক দেশকাল’ বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নজির রেখে চলেছে। জনগণের সামনে সত্য প্রকাশে অবিচল থেকেছে- সেজন্য তাদের ধনবাদ জানাই। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তথ্যবহুল বস্তুনিষ্ঠ এবং সাংবাদিকতা ‘সাম্প্রতিক দেশকাল’কে অতি অল্প সময়ে জনপ্রিয় সংবাদপত্রে পরিণত করেছে। দেশের জনগণের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিকাশে ‘সাম্প্রতিক দেশকাল’ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রতিদিনের সংবাদ পরিবেশন নয় বরং সংবাদের বিশ্লেষণটাই প্রধান। এক্ষেত্রে জনমত গঠনের দায়বদ্ধতার মাত্রাটাও বেশি। ‘সাম্প্রতিক দেশকাল’ তার ঐতিহ্য বজায় রেখে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান লড়াইয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে বলে আশা করি।

সাম্প্রতিক দেশকালের ১০ম বর্ষে পদার্পণ পত্রিকাটির আরও উৎকর্ষ বয়ে আনুক। ‘সাম্প্রতিক দেশকাল’ পত্রিকাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সাফল্য কামনা করছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh