এন ইসলাম
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১৪ এএম | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১৬ এএম
তাসনিয়া ফারিণ। ছবি- সংগৃহীত
চলতি সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। যার হাসিতে বুঁদ হয়ে থাকেন দর্শক, অভিনয়ে তার মুগ্ধ থাকেন। নির্মাতাদের কাছে দারুণ একজন আস্থার শিল্পী হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছেন।
বলা যায়, ক্যারিয়ারের খুব অল্প সময়ে শীর্ষ অভিনেত্রীদের কাতারে চলে আসেন তিনি। দেশের বাইরে ওপার বাংলাতেও তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। কলকাতার সিনেমার মধ্য দিয়ে তার বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে। ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে তার প্রথম ছবি ‘আরও এক পৃথিবী’। এটি পরিচালনা করেছেন অতনু ঘোষ। প্রতীক্ষা নামের এক তরুণীর ১১ বছরের জীবনযাত্রার গল্প নিয়ে ছবিটি। এতে আরও অভিনয় করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সাহেব ভট্টাচার্য, অনিন্দিতা বসুসহ অনেকে।
এ সিনেমাটি প্রসঙ্গে ফারিণ বলেন, ‘লন্ডনে এ সিনেমার শুটিং করেছি। এ সিনেমাটির গল্প শোনার পর মনে হলো এটি আমার সিনেমা। আমি এমন গল্পে যুক্ত হতে চাই যেটির সঙ্গে আমি মিশে যেতে পারব। সবার কাছে দোয়া চাই। কারণ এটা আমার প্রথম সিনেমা। এটা ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন, প্রত্যাশা। আমি জানি না, নিজেকে প্রথমবার বড়পর্দায় দেখে কেমন লাগবে। তবে ভালো কিছুর আশাই করছি।’
প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় এবং বড়পর্দায় অভিষেক; এ নিয়ে ফারিণের উচ্ছ্বাসের যেন কমতি নেই। সময়টা বেশ উপভোগ করছেন। তবে এ আনন্দের বাইরে রয়েছে তার কিছুটা আক্ষেপও। কারণ ছবিটি কলকাতায় মুক্তি পাওয়ায় তার নিজের দেশের ভক্তরা সেটি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘সত্যি বলতে, বাংলাদেশে ছবিটা মুক্তি পেলে আমার চেয়ে বেশি খুশি কেউ হতো না। কিন্তু কিছু জিনিস তো আসলে আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’ বাংলাদেশের বহু মানুষ প্রায়শই কলকাতায় যান। সেসব মানুষের প্রতি তাসনিয়া ফারিণের আবদার, যেন কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে বসে তার ছবিটি দেখেন এবং প্রতিক্রিয়া জানান। নাটকের মাধ্যমে দর্শকের কাছে পরিচিতি পেয়েও দেশে এ অভিনেত্রী ওটিটির দিকেই বেশি মনোযোগী ‘ট্রল’খ্যাত অভিনেত্রী। তার ভাষ্য, নাটকে এখন তেমন কাজ করা হচ্ছে না। ওটিটির কাজগুলোই করছি।’
কিন্তু নাটকে নেই কেন ফারিণ? তিনি বলেন, এখন যে ধরনের গল্পে নাটক হচ্ছে সেটি করার চেয়ে না করাই ভালো মনে করি। নিজের কোয়ালিটি নষ্ট করে কাজ করতে চাই না। এখানে ভালো কাজ দিয়েই দর্শকের সঙ্গে থাকব। সাম্প্রতিক সময়ে নাটকে অশ্লীল সংলাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন অনেক অভিযোগ শিল্পী ও নির্মাতাদের কাছ থেকে শোনা যায়। এ পরিস্থিতিতে নাটকের ভবিষ্যৎ কী? এ নিয়েও কথা বলেন এ অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, ইউটিউবে যে বয়সের
দর্শক নাটক দেখে তারা এগুলো দেখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সত্যি বলতে এ প্রজন্ম
অস্থির সময় পার করছে। ইউটিউবে অনেক ভালো কন্টেন্টও থাকে। সেগুলোর খুব বেশি ভিউ হয়
না। কিন্তু যেগুলো নিয়ে আমরা সমালোচনা করি সেগুলো দর্শক ঠিকই দেখছে। এজন্য ভালো
পরিবেশের জন্য আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।