সরকারি খাদ্য গুদামের গমের বস্তায় বালি, তদন্ত কমিটি গঠন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম

খাদ্য গুদামের গমের বস্তায় বালি। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

খাদ্য গুদামের গমের বস্তায় বালি। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে পরিবহন ঠিকাদারের গাড়ি থেকে গম খালাসের সময় গমের বদলে ২৮টি বালি ভর্তি বস্তা ও ৬টি বড় ধরনের পাথর পাওয়া যায়। রহস্য উদঘাটনের জন্য ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্তৃপক্ষ ট্রাকের চালকসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদেশ থেকে আমদানি করা গমের চালান চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামে আসতে শুরু করে। এরই ধারা বাহিকতায় আজ রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা ৪ নম্বর ঘাট থেকে খাদ্য পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকার এন্টারপ্রাইজ, জোনাকী পরিবহন ও সানরাইজ জুট ট্রেডার্সের ৬টি ট্রাকে সাড়ে ১৬ মেট্রিকটন করে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন গমের চালান খালাসের সময়, ট্রাকগুলো থেকে গমের বস্তার পরিবর্তে ২৮টি বালি ভর্তি বস্তাও ৬টি বড় ধরনের পাথর পাওয়া যায়।

এরা হলেন- খুলনা বয়রা এলাকার বজলুর ছেলে ট্রাক চালক রাব্বি, বাগেরহাটের মোংলার মজিদের ছেলে ট্রাক চালক রবিউল, খুলনা কাস্টমস্ এলাকার মজিবর শেখের ছেলে হেলাল শেখ, খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার ট্রাক চালক সাইফুল, খুলনার জোড়াগেট এলাকার আক্কাসের ছেলে ট্রাক চালক আসাদ ও একই এলাকার সিদ্দিকের ছেলে ট্রাক চালক নান্নু।

তবে সচেতন মহলের বক্তব্য বিগত দিনে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে এটাই এ ধরনের প্রথম ঘটনা।

খুলনা মেট্রো-ট ১১-০৬৯৬ ট্রাকের চালক আসাদ জানান, খুলনার ৪ নম্বর ঘাটে ট্রাকে গম লোডের সময় চাকায় দিতে বালির বস্তা লাগে, তাই আমরা বালির বস্তা গাড়িতেই রেখেছিলাম।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কে.এম. শহিদুল হক বলেন, এদিন ভোর রাতে ৬টি ট্রাক আমদানীকার গম নিয়ে খুলনার রূপসা ৪ নম্বর ঘাট থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে আসে। সকাল ৯টায় ট্রাক থেকে গম খালাস করার সময় গমের সঙ্গে বের হতে থাকে বালির বস্তা ও পাথর। এ ঘটনা পর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হামিদকে প্রধান করে সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক নাসরিন বানুকে নিয়ে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সোমবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh