সবকিছুই মাতৃভাষায় প্রকাশ করতে হবে: যতীন সরকার

এহসান হায়দার

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:০০ পিএম | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:১৬ পিএম

যতীন সরকার। ছবি: সংগৃহীত

যতীন সরকার। ছবি: সংগৃহীত

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন। এ আন্দোলনের ইতিহাস আমাদের প্রাণের ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনে আমাদের প্রেরণা ছিল আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষা। এ আন্দোলন যেমন ঢাকাকেন্দ্রিক ছিল-ঠিক তেমনিভাবে গ্রামাঞ্চলেও এর একটি প্রভাব পড়েছিল। নেমেছিল আন্দোলনের ঢল। এখনো গ্রামের বয়স্কদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা বেশ ভালোভাবেই বলতে পারবেন। যেমনটি মফস্বল শহর নেত্রকোনায়ও ঘটেছিল। সে সময়ে নেত্রকোনায় ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন ছাত্র যতীন সরকার।

ভাষা আন্দোলনের ৭১তম বছর উদযাপনের সময়ে ভাষা নিয়ে ভাষাসৈনিক যতীন সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন সাম্প্রতিক দেশকালের সাহিত্য সম্পাদক এহসান হায়দার 

এহসান হায়দার: বাংলা ভাষা আন্দোলনের শুরুর দিকের কথা, তমদ্দুন মজলিস-১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে এই সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দাবি উত্থাপন করে এই প্রতিষ্ঠান। তারপর ৪৮ সাল। আন্দোলন শুরু হলো। ওই সময়ে তো মফস্বল শহরে আপনি থাকতেন? 

যতীন সরকার: আমি ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা চন্দ্রনাথ হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তাম, নেত্রকোনায় তখন কোনো কলেজ ছিল না। মাত্র চারটি হাই স্কুল ছিল। হঠাৎ একদিন-সম্ভবত মার্চ মাস হবে সময়টা, ‘মে উই কাম ইন স্যার?’ বলে নাইন-টেনের ছাত্ররা স্যারের অনুমতি ছাড়াই আমাদের ক্লাসরুমে ঢোকে এবং তারা বলতে লাগল, ‘আমাদের মাতৃভাষা বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

পাকিস্তানের কথিত জাতির পিতা জিন্নাহ সাহেব ঢাকায় এসে বলেছেন-উর্দুই হচ্ছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। সবাই এর বিরোধিতা করেছেন, আমরা কিছুতেই সেটা মেনে নেব না। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা, সেই মাতৃভাষাই রাষ্ট্রভাষা হতে হবে।

তারপর পুলিশের কিছু জুলুম হয়েছে, আমরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় বেরিয়ে আসব।’ আমরা তখন তাদের সঙ্গে বেরিয়ে এলাম। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, জিন্নাহ সাহেবের বক্তব্য মানি না, পুলিশের জুলুম বন্ধ কর’-এরকম আরও স্লোগান দিয়ে আমরা সারা শহর ঘুরলাম।

এহসান হায়দার: তারপর কী হয়েছিল?

যতীন সরকার: পরদিন ভোরে নেত্রকোনা শহরের মুক্তাঙ্গনের মাঠে এক সভায় যোগ দিয়েছিলাম। আমি তখন ক্লাস সিক্সের ছাত্র, আমার তখন তেমন কোনো ভূমিকা নেই। নেত্রকোনায় তখন কলেজ নেই, ক্লাস নাইন-টেনের ছাত্ররা বিভিন্ন বক্তৃতা দিয়ে বোঝাতে লাগল, জিন্নাহ সাহেব পাকিস্তানের জাতির পিতা হলেও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আজকে আমাদের ভাষার ওপর তিনি আঘাত করেছেন।

আমরা কিছুতেই এটা মেনে নেব না। স্বয়ং জিন্নাহ সাহেব বললেও আমরা সেটা মেনে নিতে পারি না-এসব কথা সেদিন ওই সভায় হয়েছিল। সে সময় জিন্নাহ সাহেবের কথার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না পাকিস্তানে-এমনটা ১৯৪৮ সালের আগে কেউই ভাবতে পারেনি। যা-ই হোক, সেই দিন যে আমি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরেছিলাম-এই ভাবনাটিই ছিল প্রধান আমার কাছে। তারপর আমাকে নেত্রকোনা শহর ছাড়তে হয়, বলা চলে যেতে বাধ্য হই বিভিন্ন কারণে।

এহসান হায়দার: এরপর তো মূল আন্দোলন শুরু হলো ৫২ সালে, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন, আন্দোলনে যুক্ত হলেন কীভাবে? 

যতীন সরকার: হ্যাঁ-১৯৫২ সালের কথা, তখন গ্রামের স্কুলে ক্লাস টেনে পড়ি-হঠাৎ খবর পাওয়া গেল, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাওয়াকে অপরাধ বিবেচনা করে বেশ কিছু ছাত্রকে ঢাকায় হত্যা করা হয়েছে। তখনকার সময়ে আজকের মতো এমন রেডিও-টেলিভিশন ছিল না। খবরটাও খুব বেশি প্রচারে আসেনি। তবে ‘সৈনিক’ নামে তমদ্দুন মজলিশের একটা পত্রিকা ছিল।

তমুদ্দিন মজলিশ খুব একটা প্রগতিশীল সংগঠন ছিল না; কিন্তু ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে তমদ্দুন মজলিশের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকতেই হবে। তখন তাদের প্রকাশিত ‘সৈনিক’ পত্রিকায় ভাষা আন্দোলনের খবরাখবর বের হতো, আমরা সেগুলো পড়তাম। যেভাবেই হোক, সে সময়ে খবর পেয়ে যেতাম। তখন আমরা আন্দোলন করেছি ভাষার জন্য। হরতাল পালন করেছি। 

এহসান হায়দার: একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর আপনারা কী করলেন?

যতীন সরকার: ৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমরা খবর পাই এ হত্যাকাণ্ডের, তারপর বেরিয়ে পড়ি রাস্তায়। আমাদের পাশের বাজার ছিল বসুর বাজার, ওখানে সেদিন হাটবারও ছিল। আমরা হাটে পৌঁছে হাটুরেদের বলি, ‘আমাদের ভাষার ওপর পাকিস্তান সরকার উর্দুকে চাপিয়ে দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমাদের ছাত্র ভাইদের ওপর ওরা বর্বরভাবে গুলি চালিয়েছে, হত্যা করা হয়েছে তাদেরকে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।

মানব না আমরা আমাদের মায়ের ভাষার প্রতি বঞ্চনা।’ আমাদের বক্তব্যের আবেগে হাটের অনেক মানুষ কেঁদেছিল সেদিন। তারপর আমরা বলেছিলাম, আজকে এর প্রতিবাদে গ্রামের এই বাজারে আমরা হরতাল পালন করব। গ্রামের মানুষজন হরতাল কী তা হয়তো চোখে দেখেনি-জানত না তখনো; কিন্তু শব্দটা তাদের পরিচিত ছিল।

ফলে আমাদের কথা তারাও একবাক্যে মেনে নিয়ে সব দোকান-পাট বন্ধ করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। এভাবেই গ্রামের সাধারণ মানুষ ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়েছিল ৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।

এহসান হায়দার: বাংলা ভাষা চর্চার সার্বিক অবস্থা এখন যদি দেখি-আমরা দেখছি ভাষার প্রতি দরদ কমেছে...

যতীন সরকার: এর কারণ একটিই আমাদের মধ্যে ভাষার প্রতি যত্নশীলতা কমেছে। আগের তুলনায় সংস্কৃতির চর্চাও এখন তেমন নেই। ফলে মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ জাগ্রত হচ্ছে না। মূল্যবোধ ভাষাপ্রেম বাড়ায়। দায়িত্বশীল করে তোলে সবক্ষেত্রে।

এহসান হায়দার: ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পূর্তিতে এসে এখনো ভাষার চর্চার ক্ষেত্র তেমন বিস্তৃত হয়নি বরং কমেছে, এর কারণ কী বলে মনে করেন?

যতীন সরকার: ৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে আমাদের নানাভাবে বিভক্ত করার পাঁয়তারা হয়েছে। তারপর রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, নজরুল ইসলামকে খণ্ডিত করা হয়েছিল। এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমরা যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম তার মাধ্যমেই ৭০ বছর আগের বায়ান্নর ভাষার লড়াইয়ে আমরা জিতে যাই। এই আন্দোলন ছিল আমাদের চলমান এক প্রক্রিয়া।

এর মাধ্যমেই মূলত আমরা আস্তে আস্তে করে স্বাধীনতার দিকে এগিয়েছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমরা ভাষার চর্চায় ক্রমাগত পিছিয়েছি। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে সবখানে এখন বাংলা ভাষা চর্চার নিয়ম থাকবার কথা, কিন্তু তা হয়নি। এর কারণ নিজের সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে রাখতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সংস্কৃতি ও ভাষা একই সূত্রে গাঁথা। একটির সংকটে আরেকটি অস্তিত্ব হারায়। এজন্য বাংলা ভাষার ব্যবহারে এখনো সেই সফলতা আসেনি, ঘটেনি সার্বিক বিস্তৃতি। 

এহসান হায়দার: দীর্ঘ বঞ্চনা ও নানামাত্রিক ঔপনিবেশিক শোষণ থেকে আমরা মুক্তি লাভ করেছি, অর্জন করেছি আকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা; কিন্তু আমাদের জাতীয় জীবনে বাংলা ভাষা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে কতটুকু?

যতীন সরকার: একটা কথা হলো, বাংলা ভাষা জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত হোক-এটা হচ্ছে আমাদের কামনা। এটা যে কোনো দেশের মানুষের জন্য জরুরি, যেন সে দেশের ভাষার ব্যবহার বা প্রতিষ্ঠা জীবনের সর্বস্তরে হয়। ভাষা দিয়েই তো একটা দেশের প্রকৃত পরিচয় নির্ধারিত হয়। আমরা যে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অন্তর্গত ছিলাম সেখানে ধর্ম দিয়ে পরিচয় হতো রাষ্ট্রের, ধর্ম দিয়ে কোনো রাষ্ট্রের পরিচয় হতে পারে না।

ধর্ম মানুষ পরিবর্তন করতে পারে; কিন্তু ভাষার মধ্য দিয়ে মানুষ জন্মগ্রহণ করার পর একটা মানুষের পরিচয় হয়ে ওঠে তার ভাষা। আমাদের গর্ভধারিণী মায়ের সমান আমরা মাতৃভূমিকে দেখি। যে ভূমিতে আমি জন্ম নিয়েছি সে হলো আমার মা। আর যে ভাষায় আমি মানুষ হয়েছি, আমার চিন্তা-চেতনা প্রকাশ করি সেটি আমার মাতৃভাষা।

গর্ভধারিণী মায়ের সম্পর্কে আমাদের শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হয় যেমন তেমনি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হয় মাতৃভাষা ও মাতৃভ‚মির প্রতি; কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে মাতৃভাষার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ যে নেই তার অনেক কারণ রয়েছে। একটা বিষয় লক্ষ্য করুন-আমাদের দেশের উচ্চশ্রেণির মানুষ যারা, তারা দেশের ঐতিহ্যকে এড়িয়ে বিদেশের ঐতিহ্যকে লালন করে। তারা বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে দেশের সংস্কৃতিকে ভুলে যায়। 

এহসান হায়দার: আপনার দৃষ্টিতে ভাষা আন্দোলনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি সম্পর্কে জানতে চাই স্যার...

যতীন সরকার: ভাষা আন্দোলন ছিল মূলত সাংস্কৃতিকভাবে একটি বড় আন্দোলন। কোনো জাতিকে ধ্বংস করার জন্য তার ভাষার ওপর আঘাত করলেই পুরোটা শেষ হয়ে যায়। একটা জাতির নিজের ভাষার ওপর যখন চাপিয়ে দেওয়া হয় অনৈতিক বোঝা, তখন সে মরে যায়। মরে যায় তার কৃষ্টি। ভাষা মরে গেলে সে জাতি কখনো দাঁড়াতে পারে না।

আর ভাষা না দাঁড়াতে পারলে তো এমনিই পঙ্গু হয়ে যায় যে কোনো জাতি। বাংলার স্বর, সুরে যে গায়ক গান করেছেন, গান লিখেছেন তারা বাঙালির প্রাণ। লালন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল-তারা আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। পাকিস্তান সরকার ৫২ সালে এই বাংলা ভাষার ওপর আঘাত হানতে চেয়েছিল। ভেঙে দিতে চেয়েছিল আমাদের মর্যাদাময় সংগীত, কবিতা আর সর্বোপরি প্রাণের ভাষাকে।

আমরা দ্বিখণ্ডিত হয়ে যেতাম যদি সেদিন এ আন্দোলন না হতো। আমরা তা হতে দিইনি। আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে আমরা রক্ষার চেষ্টা করেছিলাম বলেই পরবর্তীকালে আমাদের মানসিক শক্তি অটুট রয়েছে; আমরা পিছিয়ে পড়িনি বিশ্বের অন্যান্য অগ্রসর জাতি থেকে। আমরা বিজয়ের পঞ্চাশ বছর উদযাপন করেছি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনা, যার ফল আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ, আলাদা মানচিত্র, আলাদা সংবিধান-এর প্রথম প্রেরণা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। এ সবই সম্ভব হয়েছে কেবল ভাষার জন্য। 

এহসান হায়দার: ভাষা আন্দোলনের এতটা সময় পেরিয়ে এসেও সন্তানকে নিজের ভাষায় শিক্ষা গ্রহণের চেয়ে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করানোর জন্য অভিভাবক দল পিছিয়ে নেই, এ বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন? 

যতীন সরকার: আজও ষড়যন্ত্রকারী প্রতিক্রিয়াশীল বিভিন্ন গোষ্ঠী যেন সক্রিয় হয়ে রয়েছে এদেশে। তারা আজও বাংলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আর এক শ্রেণির অসচেতন মানুষেরা তাদের সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পাঠিয়ে তৃপ্তি পায়। তারা ভাবে না যে, ভাষার জন্য সারা বাংলা একদা কেঁপেছিল, প্রাণ দিয়েছিল আমাদের ভাইয়েরা, গ্রামে গ্রামে কৃষকদের মতো খেটে মানুষেরাও পিছিয়ে ছিল না সেই আন্দোলনে, একাত্ম হয়েছিল আমাদের মিছিলে-তাদের বিবেকের কাছে এ প্রশ্ন-ইংরেজি ভাষায় শিক্ষায় কতটুকু উন্নত হবে আপনার সন্তানের জীবন? যে নিজের ভাষা জানে না সে কী করবে? যার নিজের সংস্কৃতি জানা থাকবে না সে কতটা আপনাকে ভালোবাসবে? যে মানুষ তার ভাষার কীর্তিমানদের জানে না, সে নিজেকে গড়বে কী করে? আমি মোটেই অন্য ভাষার বিরুদ্ধে না। তবে নিজের ভাষাকে তো সম্মান করতে হবে, জানতে হবে সংস্কৃতির পুরোটাই। 

এহসান হায়দার: বাংলা ভাষার চর্চা এখন তরুণদের ওপর বর্তিয়েছে, সে কারণে আমাদের তরুণ সমাজের উদ্দেশে আপনার কিছু বলার রয়েছে কী?

যতীন সরকার: তরুণদের বলি, আমাদের সবকিছুই মাতৃভাষায় প্রকাশ করতে হবে। এই প্রকাশ করার ব্যাপারটি আপনা-আপনি হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। এর জন্য আমি বলব, এমন একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে-যারা মাতৃভাষা ব্যবহার করে না তাদের বিরুদ্ধে সেই আন্দোলন। মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে-শিক্ষাক্ষেত্র থেকে বিনোদন, বাজার থেকে পথ-সবখানে এই চর্চায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এরকম একটি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভাষার চর্চায় আমাদের ফিরতে হবে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh