সিরিয়ায় বন্দি ১১ বাংলাদেশির খোঁজ মেলেনি এখনও

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২২ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যুর মিছিল কোথায় গিয়ে থামবে, কারো কাছে এর উত্তর নেই। প্রতিটি মুহূর্ত একটি করে পরিবারের কপালে পড়ছে ভাজ। তাদের আর্তনাদে কাঁদছে পুরো বিশ্ব। গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে স্বজন হারানো ব্যথায় কাঁদতে হবে ভাবেনি বাংলাদেশ। তবে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মানব পাচারকারীদের হাতে বন্দি ১১ বাংলাদেশির খোঁজ আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মেলেনি।

তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভূমিকম্পের আগে আমরা জানতে পেরেছিলাম, সিরিয়া অংশে সীমান্তের কাছে মানব পাচারকারীদের হাতে ১২ ব্যক্তি বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয়। তবে তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।

তিনি বলেন, ১১ বাংলাদেশির একজন মানব পাচারকারীদের হাত থেকে মুক্তির জন্য ফোনে দূতাবাসের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেন। মানব পাচারকারীরা তা টের পেয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সিরিয়ার ওই অংশেই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল বেশি।

তবে ভূমিকম্পে বহু বাংলাদেশি নাগরিকের হতাহতের আশঙ্কা করছে তুরস্কে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস। কারণ হিসেবে দূতাবাস জানায়, ইউরোপ প্রবেশে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল ব্যবহার করে থাকেন বাংলাদেশিরা। ফলে এ অঞ্চলে বছরের বেশিরভাগ সময়ই কয়েকশ বাংলাদেশি ইউরোপে ঢোকার জন্য অবস্থান করেন। কোনো কোনো সময় এ সংখ্যা আরও বেশি হয়ে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়া অংশে পূর্ণাঙ্গ উদ্ধার অভিযান চালানো হলে কোন দেশের কত নাগরিক হতাহত হয়েছে, তা বিস্তারিত জানা যাবে। এখানে অবস্থান করা বাংলাদেশিরা অনিবন্ধিত। এ পথ ব্যবহার করে যাওয়া বাংলাদেশিরা দেশে ফেরত পাঠানোর ভয়ে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। বেশিরভাগ বাংলাদেশি এখানে লুকিয়ে থাকেন কিংবা মানব পাচারকারীদের হাতে বন্দি থাকেন। তাদের বেশিরভাগের সঙ্গেই পাসপোর্ট থাকে না। তাদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা ও খোঁজ পাওয়া আরও কষ্টসাধ্য।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh