অভিবাসন খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৭ এএম

জাপানে আবাসন প্রকল্পে কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

জাপানে আবাসন প্রকল্পে কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

অভিবাসন খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নির্দিষ্ট দেশের চাহিদা অনুসারে পরিপূর্ণভাবে কর্মীকে তৈরি করে সেই দেশে কর্মী পাঠানোর মধ্য দিয়ে অভিবাসন খাত ঢেলে সাজানোর কথা পরিকল্পনা করেছিল ঢাকা। চাহিদা অনুসারে জাপানে সাড়ে ৩ লাখ দক্ষ কর্মী পাঠানোর মধ্য দিয়ে সেই নতুন দিগন্তের শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন জানান, কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করার চেষ্টা করছেন তারা।

জানা গেছে, জাপানে সাড়ে ৩ লাখ কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে ২ হাজার ৭৪০ জনকে। জাপানি ভাষা শেখানো থেকে শুরু করে কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করছে ৪২টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্টে ৫ বছরব্যাপী সাড়ে ৩ লাখ বিশেষায়িত দক্ষ কর্মী পাঠাতে জাপান সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। টোকিওতে দুই দেশের মধ্যকার স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী জাপানের ১৪টি খাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ এবং জাপানি ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। নিরাপদ কর্মপরিবেশ আর উচ্চ বেতনে এসব চাকরিতে কর্মী পাঠাতে ৪২টি কারগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।

বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বলেন, জাপানকে ঘিরে আমাদের শ্রমবাজার বিকাশের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমআই জাপানের কাজের সৌন্দর্য হচ্ছে, যখন শ্রমিকরা প্রশিক্ষণে থাকেন, নিয়োগকারী তখন বাংলাদেশে এসে প্রশিক্ষণরত অবস্থার তাদের তালিকার তৈরি করেন। অর্থাৎ কোনো দালালের কাছে যেতে হয় না, যাওয়া সময় কোনো টাকা লাগে না শ্রমিকদের। আর কর্মী যখন ফেরত আসেন তখন তারা বেতন ছাড়াও বাড়তি ৫ লাখ টাকা দিয়ে দেন শ্রমিকদের। যেন তিনি দেশে ফিরে কিছু করতে পারেন।

প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ৫০ লাখ দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর এক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় গন্তব্য জাপানি জনশক্তি বাজার।

ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রশিক্ষণের পর শ্রমিকদের এ পরীক্ষাটা বাংলাদেশে হতো না, সেটি এখন দেশেই হবে। আমরা আমাদের কূটনৈতিক উদ্যোগ-সমৃদ্ধি ও কর্মপ্রচেষ্টায় এটা শুরু করেছি। আশা করছি, এ মাস থেকে কয়েকটি সেক্টরে পরীক্ষা চালু হচ্ছে। এ মুহূর্তে ১০০ জনের মতো মানুষ যাচ্ছেন জাপানে। ধারাটা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে এবং ক্রমশ বাড়বে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh