বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৪৫ এএম

ভূমিকম্প হলে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ভূমিকম্প হলে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

১০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিধ্বংসী ভূমিকম্প দেখেছে তুরস্ক ও সিরিয়া। ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গোটা বিশ্ব কাঁদছে এই ভয়াবহতা দেখে। এদিকে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। 

ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও মিয়ানমারের প্লেটের সংযোগস্থলে দীর্ঘসময় ধরে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। আর এই সংযোগস্থলেই অবস্থান বাংলাদেশের। ফলে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও, বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল।

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প নিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই এলাকার মাটির নিচে থাকা অ্যারাবিয়ান প্লেটটি উত্তর দিকে সরে গিয়ে আনাতোলিয়ান প্লেটে ধাক্কা দিলে এই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়।

ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তুরস্ক-সিরিয়ার মতো বাংলাদেশও ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। উত্তরে তিব্বত সাব-প্লেট, ভারতীয় প্লেট এবং দক্ষিণে মিয়ানমার সাব-প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। আর বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে এসব এলাকা বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।

কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতের প্লেট ও মিয়ানমারের প্লেটের সংযোগস্থলে দীর্ঘদিন ধরে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেই প্লেটে ধাক্কার সূত্রপাত হয়নি। এ কারণে সেখানে হাজার বছর ধরে শক্তি জমা হয়ে রয়েছে।  

গবেষণায় আরও দেখা যায়, ভারতের প্লেট পূর্ব দিকে মিয়ানমারের প্লেটের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর মিয়ানমারের প্লেট পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই সেখানে যে পরিমাণ শক্তি জমা হচ্ছে, তা আট মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। 

সুনামগঞ্জ, জাফলং অংশে ডাউকি ফল্টের পূর্বপ্রান্তেও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। এসব ফল্টে ভূমিকম্প হলে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh