নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১৯ এএম | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২৩ এএম
প্রতীকী ছবি
মূলত মানুষ মাত্রই ভুলের শিকার হয়। পথ ভুলে অসৎ পথে পা বাড়ায়। আসল কথা হলো, মানুষকে সৃষ্টিই করা হয়েছে পাপ-পূণ্যের ক্ষমতা দিয়ে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা মানবের ভিতরে অসৎকর্ম ও সৎকর্ম উভয়ের প্রেরণা জাগ্রত করেছেন।’ [শামস:৮] কাজেই মানবের ভূল হবেই। মানবের দ্বারা গুনাহ প্রকাশ পাবেই। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সাহাবী আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘ঐ সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা মোটেও গুনাহ না কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন এবং এমন জাতি সৃষ্টি করবেন, যারা গুনাহও করবে, তাওবা-ইস্তিগফারও করবে। তারপর আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।’ [মুসলিম, হাদীস:২৭৪৯; আহমাদ, হাদীস:৪০৪২; মুসনাদে ইবনে আবী শয়বা, হাদীস: ৮] এ হাদীসে ইঙ্গিত রয়েছে যে, যদি গুনাহ করার যোগ্যতা মানুষের মাঝে না থাকতো, তাহলে মানব সৃষ্টির কোনো প্রয়োজনই ছিল না। শুধুমাত্র ইবাদতের জন্য ফেরেশতারাই যথেষ্ট ছিল।
তবে যে পাপের প্রবণতাকে দমন করবে বা পাপ করে ফেললে তাওবা-ইস্তিগফার করবে, সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ। আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তার জন্যই জান্নাত। এই তাওবা-ইস্তিগফারই গুনাহ মাফের মহৌষধ। মানুষ যত গুনাহই করুক না কেন, সঠিক পন্থায় তওবা করলে তার গুনাহ মাফ হবেই।
পাপমুক্ত জীবন গঠন ও আল্লাহর নৈকট্য লাভে তাওবার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনের বহুসংখ্যক আয়াতে মুমিনদের তাওবার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে খালিছভাবে তাওবা কর। এতে আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপরাশিকে মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নহর।’ [তাহরীম:৮] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘গুনাহ থেকে তাওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তির মতো হয়ে যায়।’ [সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস:৪২৫০; শুআবুল ঈমান, হাদীস: ৬৭৮০; আসসুনানুল কুবরা, হাদীস:২০৫৬১] উপরোক্ত আয়াত ও হাদীসের দ্বারা বুঝা যায়, পাপ মোচনের মহৌষধ হচ্ছে তাওবা। তাওবার দ্বারা মুমিন হয় নিষ্পাপ এবং প্রবেশ করে অনাবিল শান্তির নিবাস জান্নাতে।