ডাল আমদানির পেছনেই ব্যয় ৭ হাজার কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৭ পিএম

বিভিন্নি রকম ডাল। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্নি রকম ডাল। ছবি: সংগৃহীত

দেশে পরিমাণ ডাল উৎপাদন হয় তা দিয়ে অর্ধেক চাহিদাও পূরণ হয় না। অতিরিক্ত চাহিদা পূরণে প্রতি বছর বিদেশ থেকে বিভিন্ন পদের প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ টন ডাল আমদানি করতে হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। প্রায় ১৬ লাখ টন ডালের কিনতে ব্যয় হয় এই টাকা। আর দেশে উৎপাদিত হয় ১০ লাখ টন। মোট চাহিদা ২৬ লাখ টন।

আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ডাল দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৪৫ গ্রাম ডাল খাওয়ার উচিত। সেখানে আমাদের দেশের মানুষ মাথাপিছু মাত্র ১৭ গ্রাম ডাল খেয়ে থাকেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

তারা বলেন, দেশে ক্রমাগতভাবে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য উচ্চ ফলনশীল জাতের ডাল ফসল উদ্ভাবন, একই সঙ্গে এর সম্প্রসারণ ও ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।

বক্তারা বলেন, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডাল বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন শস্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ডাল ফসলের উৎপাদন এলাকা কিছুটা কমে গেলেও আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হওয়ায় হেক্টরপ্রতি ফলন অনেক বেড়েছে।

সেমিনারে আরও বলা হয়, ধানভিত্তিক শস্য বিন্যাসে ডাল ফসলের আবাদ সম্প্রসারিত করার সুযোগ সীমিত। তবে বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চল, চরাঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল, রেল সড়ক ও রাস্তার ধারে এবং বসতবাড়ির আঙিনায় উপযুক্ততা বিবেচনায় ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

বক্তারা বলেন, বিভিন্ন মাঠশস্য ও ফল বাগানে (কুল, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, আম, লিচু ইত্যাদি) ডাল ফসলকে মিশ্র ফসল ও আন্তঃফসল হিসেবে চাষের মাধ্যমে ডালের উৎপাদন বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। উচ্চফলনশীল জাত ও আধুনিক উৎপাদন কৌশল ব্যবহার করে বর্ণিত অঞ্চলসমূহে কৃষক পর্যায়ে আবাদ সম্প্রসারণ করতে পারলে ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh