ড্রেসিংরুমে ধূমপান সুজনের, বিস্মিত-হতবিহবল ত্রীড়াঙ্গন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৭ এএম | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম

খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বিপিএলে খুলনা টাইগার্স কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের আচরণে বিস্মিত ও হতবিহবল দেশের ত্রীড়াঙ্গন। ত্রীড়াঙ্গনের বিস্মিত হওয়ার কারণ গতকাল শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে দলের খেলা চলাকালীন সময়ে ড্রেসিংরুমে ধূমপান করেছেন তিনি। তার কাণ্ড ধরা পড়েছে টিভি ক্যামেরায়। বিস্ময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি সৃষ্টি করেছে বিতর্ক।

গতকাল টানা হারের পর নিজেদের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিরুদ্ধে জয় পায় সুজনের দল।

ধূমপান করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বরিশালের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে খুলনা। জয়ের জন্য যখন তাদের শেষ ৪ বলে প্রয়োজন মাত্র ৪ রানের প্রয়োজন, তখনই সরাসরি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে একটি দৃশ্য যেখানে দেখা যায় খুলনার প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ম্যাচের দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি ধূমপান করছেন। এর আগে, বিপিএলের গত আসরে মাঠে ই-সিগারেট টেনে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটার মোহাম্মদ শেহজাদ।

এর আগে, সাকিবের ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে চলতি বিপিএল শেষ করে খুলনা টাইগার্স। বরিশালের দেওয়া ১৭০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় তারা। 

১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ৭৬ রান তুলতে পেরেছিল খুলনা। সেখান থেকে মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত এক ইনিংস আর শেষদিকে হাবিবুর রহমান সোহানের ঝড়ো ইনিংসে দুর্দান্ত এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা।

বিপিএলের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচটির রেফারির দায়িত্বে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল। দেবব্রত যদিও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। তবুও তিনি জানান, তিনি শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে খেলা শেষে ফেরার পর মোবাইলে ফুটেজটি দেখেছেন। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি দেবব্রত। শুধু বলেছেন, ড্রেসিংরুমে ধূমপান ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী অবশ্যই।

এই ক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদের কী শাস্তি হতে পারে? জানতে চাইলে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কথা, ‌‘আমি শুধু ফুটেজ দেখেছি। এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ ক্ষেত্রে হয় মৌখিক সতর্ক, না হয় ম্যাচ ফি কর্তনের সম্ভাবনাই বেশি। সূত্র আরও জানায়, সাধারণত বয়সে তরুণ ও অনভিজ্ঞদের কেউ এমন কাজ করলে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু খালেদ মাহমুদ সুজন তো অনেক অভিজ্ঞ। জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার, সহকারী কোচের ভূমিকায়ও ছিলেন। টিম ডিরেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন। আর বিপিএলের শুরু থেকেই তিনি কোচ। তাই সুজনের অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ম্যাচ ফির ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাটা যেতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh