রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন মো. সাহাবুদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:০৫ পিএম | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:০২ পিএম

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ফাইল ছবি

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ফাইল ছবি

দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

আজ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিন একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আজই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এর আগে গতকাল রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নাম দাখিল করেন। 

পাবনার এক অজপাড়া গাঁ’য়ের সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ছাত্রজীবন থেকেই মানুষের অধিকার আদায়ে ছিলেন সোচ্চার। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীনের ডাকেও তিনি ঘরে নিশ্চুপ বসে থাকতে পারেননি তিনি। জীবন বাজি রেখে করেছেন মুক্তিযুদ্ধ। দেশ স্বাধীনের পর আইন বিষয়ে পড়ালেখা শেষে আইনি পেশাতেই নিযুক্ত হন তিনি। সুনাম কুড়িয়ে একটা সময় হন বিচারক।

আইনি পেশায় তার সর্বোচ্চ অর্জন জেলা দয়রা জজ আদালতের বিচারকি পদ। এই পদে থেকেই তার সরকারি চাকরি জীবনের সমাপ্তি হয়। সাবেক এই বিচারক পরে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। ১৯৪৯ সালে জন্ম নেয়া এই মানুষটি হলেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।

তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন।

১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়, যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম-সচিব ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh