একবছরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

একবছরের ব্যবধানে দেশে ৪৬ শতাংশ  মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। 

তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছরের (২০২২ সালের) জানুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।’

আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদন উপকরণের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এর ফলে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছিল। গত এক বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে কয়েক মাস ধীরে ধীরে কমে আসছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মজুরি হারও বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মজুরির হার বেড়ে ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময়ে মজুরি ভালোই বেড়েছে।’

তবে ‘মূল্যস্ফীতি আগের অবস্থায় ফিরে যায় না’ উল্লেখ করে শামসুল আলম বলেন, ‘কারণ উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। গরুর ফিড ও পোলট্রি ফিডের দাম অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি পরিবহন খরচও বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। এক কেজি ওজনের মুরগির দাম এখন ২৭০ টাকা। ডিমের দামও বাড়তি। তবে শাকসবজির দাম সহনীয় আছে।’

রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পলিশ করে চাল ফেলে দেয়া হয়, চাল পলিশ করে এটা চিকন করে। চালের বাজারে প্রতারণা চলতে পারে না। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে এনে চিকন চাল তৈরি করা হয়। তিনটা মেশিনে পার করে মোটা চাল চিকন করে। এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। চালের প্রকৃত পুষ্টি চালের উপরের স্তরে থাকে অথচ এটা ছেটে ফেলে দেয়া হয় এটা চলতে পারে না।’

আইএমএফ ঋণের সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের কিছু কিছু জায়গায় দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো। আইএমএফ আমাদের মোট জিডিপির তুলনায় যে ঋণ দিয়েছে সেটা পরিমাণ খুবই কম। এ জন্য বলি আইএমএফের শর্তে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়েনি। আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের ভর্তুকি কমাতে হতো এবং কিছু দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াতে হতো। সুতরাং আইএমএফের ঋণের সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। পণ্যের দাম বৃদ্ধির শর্ত আইএমএফের ঋণে নেই। যা চেয়েছি তার থেকে বেশি পেয়েছি। আমাদের সার্বিক অর্থনীতির প্রতি আইএিএফ আস্থাশীল বলেই ঋণ দিয়েছে। ঋণ দিতে পেরে আইএমএফ খুব খুশি। পাকিস্তান এখনো আইএমএফ ঋণ পায়নি কিন্তু আমরা পেয়েছি মানে বেশিই পেয়েছি।’

কোথায় এই আইএমএফ ঋণ ব্যবহার হবে এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ঋণ বাজেটে ব্যবহার করা হবে। তার মানে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই ব্যবহার হবে আইএমএফ ঋণ।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। উন্নয়ন সংলাপে অংশ নেন ডিজেএফবি সভাপতি হামিদ-উদ-হামান, সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল সাদিক, অর্থ সম্পাদক সাইদ রিপন, দফতর সম্পাদক এম আর মাসফি প্রমুখ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh