ধামরাই প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম
বাবলী আক্তার। ছবি: ধামরাই প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ে গরু চুরি মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক বাবলী আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটের অন্য আসামিরা হলেন মো. হাবুল সরদার, আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. মোর্শেদ আলী।
এছাড়াও ঠিকানা না পাওয়া পলাতক গরু চোর শহীদ ও ট্রাক চালকের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
বাবলী আক্তার সাভার পৌর এলাকার নয়াবাড়ি মহল্লার বাদশা মিয়ার মেয়ে। তিনি সাভার সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা জেলা উত্তরের সহ-সভাপতি।
এর আগে, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর, ধামরাইয়ের লাড়ুয়াকুন্ডু এলাকায় গরু চুরির ঘটনায় আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ২ নভেম্বর ভোরে সাভার পৌরসভা এলাকার নয়াবাড়ি থেকে বাবলী আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে একই ঘটনায় সাভারের আশুলিয়া, পলাশবাড়ী ও ধামরাই থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে বাবলী জামিনে রয়েছেন।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ধামরাইয়ের আব্দুল লতিফ তার দুইটি গরু গোয়াল ঘরে রেখে দরজায় তালা মেরে ঘুমাতে যান। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাইরে শব্দ শুনতে পান। ঘুম থেকে উঠে দেখেন ৪/৫ জন চোর তার দুইটি গরু ট্রাকে তুলে চলে যাচ্ছেন। তখন তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন বের হন। ট্রাক থেকে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে আহত হন আসামি হাবুল সরদার। এরপর স্থানীয় জনসাধারণ তাকে আটক করে। আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন, মো. মোর্শেদ আলী ও পলাতক শহীদ গরু দুইটি চুরি করে নিয়ে এসে বাবলী আক্তারের কাছে বিক্রয় করেন। এরপর বাবলী লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে গরুগুলো পুনরায় উল্লেখিত আসামিদের মাধ্যমে বেশি দামে অন্যত্র বিক্রয় করেন।
আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর গাজীপুর থেকে সাইদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় চুরি হওয়া দেড় লাখ টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভি উদ্ধার করা হয়। এরপর সাইদুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, সে একজন কসাই। ধামরাইয়ের মোরশেদ ও শহীদের কাছে থেকে দুইটা গরু ক্রয় করেছেন। হাবুল, আরিফ, রাজু, শাহাদাত, মোর্শেদ ও শহীদ এবং অজ্ঞাত চালকের বিরুদ্ধে এই মামলার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।