প্রশাসন ক্যাডারে ঝুঁকছে সবাই

শাহরিয়ার হোসাইন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৩ এএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪০ এএম

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে অতিলোভনীয় হয়ে উঠেছে প্রশাসন ক্যাডার। চিকিৎসক-প্রকৌশলীরা চাকরি ছেড়ে বিসিএসের মাধ্যমে যোগ দিচ্ছেন প্রশাসন ক্যাডারে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তারাও একীভূত হচ্ছেন প্রশাসনে। অনেক ক্যাডার প্রশাসনে একীভূত হতে আবেদনও করে রেখেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে এখন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদেরই আধিপত্য, মূলত তাদের হাতেই ক্ষমতা। গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণসহ লোভনীয় সুযোগ-সুবিধার ছড়াছড়ি। মোটামুটি সময়মতো পদোন্নতি এবং সম্মানের দিক থেকেও সেরা প্রশাসন। তাই এখন সবার ঝোঁক এদিকেই।

তবে নির্দিষ্ট একটি ক্যাডারে ঝোঁক নিয়ে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বর্তমানে ২৬টি ক্যাডারের অধীনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগের কাজটি করে থাকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। সাধারণ ক্যাডারগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র, কর, শুল্ক ও আবগারি, নিরীক্ষা ও হিসাব, আনসার, সমবায়, পরিবার, পরিকল্পনা, খাদ্য, তথ্য, ডাক, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক, বাণিজ্য।

পেশাগত ও কারিগরি ক্যাডারের মধ্যে রয়েছে- সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, বন, স্বাস্থ্য, রেলওয়ে প্রকৌশল, পশুসম্পদ, মৎস্য, পরিসংখ্যান, কারিগরি শিক্ষা, কৃষি এবং সাধারণ শিক্ষা। অনেকে বলছেন এত বেশি ক্যাডার কর্মকর্তা থাকার কারণেই কাজের মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে। আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্বের কারণে নানা জটিলতা ও অসঙ্গতি তৈরি হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, জনগণকে সেবা নিশ্চিতে বিশেষায়িত বা কারিগরি ক‌্যাডারগুলোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

প্রশাসনে আসছেন প্রকৌশলী-চিকিৎসকরা 

প্রকৌশলী ও চিকিৎসকদের অনেকেই এখন বিসিএসে তাদের জন্য নির্ধারিত কারিগরি পেশার ক্যাডার ছেড়ে যে তিনটি ক্যাডারে ঝুঁকছেন এর শীর্ষে রয়েছে প্রশাসন ক্যাডার। এছাড়া পুলিশ ও পররাষ্ট্র ক্যাডার পছন্দের হয়ে উঠছে তাদের কাছে। আগে এমন প্রবণতা দেখা যায়নি। সর্বশেষ পাঁচটি বিসিএস পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই তিন ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া এক হাজার ৯৮০ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৩৮৭ জন প্রকৌশলী ও চিকিৎসক।

গত বছর প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসের ফলাফলে ১৪টি সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে শীর্ষ ৬টি ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা প্রার্থীরা। প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র, কর, আবগারি ও শুল্ক এবং আনসার- এই ছয় ক্যাডারে যারা প্রথম হয়েছেন, তারা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে পাস করা।

সাধারণ ক্যাডারে চিকিৎসক ও কৃষিবিদদের সফলতার হারও বাড়ছে। ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরিতে প্রবেশ করেছেন বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার ৮২ জন, কুয়েট থেকে ৬৪ জন, রুয়েট থেকে ৫৯ জন এবং চুয়েট থেকে ৫৫ জন।

৩৫ থেকে ৪০তম বিসিএসের মধ্যে পাঁচটির ফলাফল পর্যালোচনা করে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ৩৫তম বিসিএসের শীর্ষ তিন ক্যাডারে (প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র) নিয়োগ পাওয়া ৪১০ জনের মধ্যে প্রকৌশলী ও চিকিৎসক ছিলেন ৫৭ জন। ৪০তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ৩৪২ জনের মধ্যে প্রকৌশলী ও চিকিৎসক ১০২ জন। এর মধ্যে শুধু বুয়েট থেকেই এবার প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ৫০ জন। 

আরও কয়েকটি ক্যাডারের আবেদন 

ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে তাদের একীভূতের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। শেষে ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর সিভিল সার্ভিসের ইকোনমিক ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হয়েছে। এজন্য ওই দিন ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডার এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকোনমিক) ক্যাডার একীভূতকরণ আদেশ, ২০১৮’ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অধিকতর গতিশীল সমন্বিত ও জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও ইকোনমিক ক্যাডার একীভূত করা হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিল ৪৬৪ জন। 

বেতারের কর্মকর্তারা ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রশাসনে একীভূতকরণের জন্য পত্র দেয়। প্রায় একই সময়ে সমবায়, পরিসংখ্যান, বাণিজ্য ক্যাডারও প্রশাসনে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। সর্বশেষ গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিসিএস-তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সদস্যরা বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামালের সঙ্গে দেখা করে প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত করার কাজ শুরুর অনুরোধ জানান। 

বাণিজ্য ক্যাডারের প্রশাসনের একীভূতের কাজ শুরু

ইকোনমিক ক্যাডারের পর এবার বাণিজ্য ক্যাডারও প্রশাসন ক্যাডারে একীভ‚ত হতে যাচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে গত ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাণিজ্য ক্যাডারে কর্মকর্তার সংখ্যা ২০ জন। এর মধ্যে ১৫ জন বাণিজ্য ক্যাডারের এবং অবশিষ্ট ৫ জনকে ক্যাডারভুক্ত করা হয়। সংখ্যাটি খুবই ছোট হওয়ায় তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাণিজ্য ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত করতে কী কী সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে, আইনগত কোনো সমস্যা আছে কি না- সবকিছু যাচাই করে কমিটি সুপারিশ দেবে। এরপর ওই সুপারিশ পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ট্রেড ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে কারণে সবাই ঝুঁকছেন প্রশাসনে নির্ধারিত ক্যাডারে।

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য

মন্ত্রণালয়গুলোর শীর্ষ সব পদই প্রশাসন ক্যাডার থেকে আসা কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে। এখানে পেশাগত বিশেষ দক্ষতা থাকার পরও পেশাভিত্তিক অন্য ক্যাডাররা শীর্ষ পদে যেতে পারেন না। বিসিএসে প্রকৌশল, কৃষি ও চিকিৎসা ক্যাডারের সঙ্গে প্রশাসন ক্যাডারদের বৈষম্য দীর্ঘদিনের। প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র ক্যাডারে সময়মতো পদোন্নতি, বাড়ি-গাড়ির সুবিধা, অতিরিক্ত ভাতা বা বিদেশে পদায়ন ও সফরের সুবিধা থাকলেও অন্য ক্যাডারে নেই।

বৈষম্য নিরসনের দাবি আদায়ে এই তিন পেশার ক্যাডাররা মিলে প্রকৃচি (প্রকৌশলী- কৃষিবিদ-চিকিৎসক) নামে একটি সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা সব ক‌্যাডারের সমান পদোন্নতির সুযোগসহ আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন‌্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রকৃচি নেতারা বলছেন, সচিব পদে যে কোনো ক্যাডার কর্মকর্তার নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু ক্যাডার বৈষম্যের কারণে কারিগরি মন্ত্রণালয়গুলোতে সচিব পদসংশ্লিষ্ট ক্যাডার বা পেশার কর্মকর্তা দ্বারা পূরণ করা হয় না। কারিগরি পদগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়নের ফলে সমস্যা দিন দিন বাড়ছে এবং পেশাজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে একীভূত হয়ে যাচ্ছেন। প্রকৌশল, কৃষি ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী কর্মকর্তাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও পদোন্নতির বিষয়ে এসব মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী কোনো পদই প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের জন্য সংরক্ষিত নেই।

মূলত প্রশাসনের কর্মকর্তারাই শীর্ষ পদগুলোতে বসে আছেন। পরিসংখ্যান ক্যাডারের এক কর্মকর্তা চাকরি শুরু করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (বিবিএস) পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হিসেবে। পরিসংখ্যান আইনে বলা আছে, বিবিএসের মহাপরিচালক ও উপমহাপরিচালক সরকার নিয়োগ দেবে। সরকার সাধারণত প্রশাসন ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেয়। পরিসংখ্যান ক্যাডারের কর্মকর্তারা সাধারণত পদোন্নতিতে পিছিয়ে থাকেন।

ফলে শীর্ষ পদে যাওয়ার যোগ্যতা হয় না। প্রশাসন ক্যাডারের যে সুযোগ-সুবিধা বা সম্মান, সেই অনুপাতে মেধাবী প্রকৌশলী বা কারিগরি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দেশে মূল্যায়ন নেই। প্রশাসন ক‌্যাডারের কর্মকর্তা ইউএনও হয়ে উপজেলা সামলাচ্ছেন, ডিসি হয়ে জেলা সামলাচ্ছেন। হচ্ছেন বিভাগীয় কমিশনার। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের পদগুলোও একচেটিয়া প্রশাসন ক‌্যাডারের কর্মকর্তাদের দখলে। তাই সবার স্বপ্ন হয়ে ধরা দিচ্ছে প্রশাসন ক‌্যাডার। 

যা বলছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা 

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, দেশে যদি প্রকৌশলী বা চিকিৎসকদের পাস করা সংখ্যার সঙ্গে মিল রেখে চাকরির বাজার ঠিক রাখা যায় এবং পদোন্নতির বৈষম্য দূর করা যায়, তাহলে চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরা নিজেদের পেশায় বেশি আগ্রহী হবেন।

প্রকৃচির কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের কারণে মেধাবী চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরা প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্রসহ সাধারণ ক্যাডারের দিকে ঝুঁকছেন। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ১০ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি। যাদের বাস্তবায়ন করার কথা, তারাই চান না এই বৈষম্য দূর হোক।

এভাবে বৈষম্য চলতে থাকলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র চিকিৎসক ও প্রকৌশলীশূন্য হয়ে যাবে। তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ক্যাডারদের বৈষম্যের বিষয়টি সরকার বিশ্লেষণ করে তা দূর করার চেষ্টা করছে। তবে অনেকে চিকিৎসা ও প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করলেও প্রশাসন বা পুলিশের চাকরি করতে পছন্দ করেন, হয়তো সে জন্যই পেশা পরিবর্তনের বিষয়টি ঘটছে।’

অন‌্যদিকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার মনে করেন, বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে প্রকৌশলী, চিকিৎসক বা কৃষিবিদদের একটি অংশ চলে গেলেও দেশের ক্ষতি হওয়ার কারণ নেই। কারণ প্রতিবছর এসব বিষয়ে অনেকে পাস করছেন। তাই কিছুসংখ্যক প্রকৌশলী, চিকিৎসক ও কৃষিবিদ বিসিএস সাধারণ ক্যাডারগুলোয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এসে সিভিল সার্ভিসকে সমৃদ্ধ করছেন।

কেউ কেউ বলছেন, ‘এক ক্যাডার নীতি’ গ্রহণ করলে শুধু আন্তঃক্যাডার সমস্যাই নয় বরং এসব সেক্টরের সেবাগ্রহীতারাই বেশি ভোগান্তিতে পড়বে। তাছাড়া কোনো ক্যাডার নিজেদের সুযোগ-সুবিধার জন্য প্রশাসন ক্যাডারে একীভ‚ত হওয়ার চেষ্টা করবে, এটাও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে বিশেষায়িত ক্যাডার দ্বারা বিশেষ সেক্টরে সেবা দেওয়ার বিকল্প নেই। এভাবে একীভূতকরণ নামে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি অথবা ‘আত্মসমর্পণ’ প্রক্রিয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh