নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৪ এএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৮ পিএম
ব্রয়লার মুরগি।
গত এক মাস ধরে অব্যাহতভাবে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গেল সপ্তাহে কেজি প্রতি দাম ২০০ টাকা ছাড়ায়। তবে এ সপ্তাহে দাম বৃদ্ধিতে সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকায় বিক্রি হচতে দেখা গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এতটা বাড়তি দামে কখনো বিক্রি হয়নি ব্রয়লার মুরগি।
এদিকে সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। অনেক আগেই সাধারণের নাগালের বাইরে দেশি মুরগির দাম। বাজারে অন্যান্য মাংসের দামও বাড়তি। উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য।
বাজারে এখনো কাটেনি চিনির সংকট।শীতকালীন সবজি নাগালের মধ্যে এলেও কাঁচা মরিচ কিনতে দাম কিছুটা বাড়তি দিতে হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মতো। সেগুনবাগিচা ও মালিবাগ বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায়।
বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। গত এক মাসে দেশি মুরগির দামে অবশ্য বড় কোনো পার্থক্য নেই। এদিকে ডিমের দামও বাড়তি। প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, খাদ্য ও বাচ্চার মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুরগির দাম একটু বাড়তে পারে। তবে এখনকার দাম মাত্রাতিরিক্ত। এত বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হোক, সেটি আমরাও চাই না।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর ফার্মের মুরগির চাষ হয় ৩১ কোটি ১৮ লাখ। গত কয়েক বছরে উৎপাদন ক্রমে বেড়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার চাহিদার সঙ্গে উৎপাদন বাড়লেও কাঁচাবাজারের মতো ডিম ও মুরগির বাজারেও সময়ে–সময়ে অস্থিরতা দেখা দেয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে অভিযান ছাড়াও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এবার বাজারে কম দৃশ্যমান হচ্ছে সরকারি তৎপরতা।
মুরগির মাংস ছাড়াও সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি। প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।