কালো আখ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৬ পিএম

 আখ। ছবি: প্রতিনিধি

আখ। ছবি: প্রতিনিধি

প্রচণ্ড গরমে এক গ্লাস আখের রস প্রাণে তৃপ্তি আনে। ফলে গরমে আখের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। ফিলিপাইনের ব্ল্যাক সুগার জাতের আখ সম্প্রতি বাংলাদেশে গবেষণা পর্যায়ে থাকলেও শেরপুরে এ আখ চাষে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা বিভাগ শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পরীক্ষামূলক চাষাবাদ শুরু করলেও মাত্র ৮ থেকে ১০ মাসের মধ্যে এ আখ পরিপক্ব হওয়ায় এবং রসালো ও প্রচুর ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষে ব্যাপক আগ্রহ শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ফিলিপাইনের কালো রঙের আখ শুধু গরমে তৃপ্তিই দেয় না, এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুণও। মুখে ব্রণ ওঠা, মুখের উপর বলি রেখা দূর করে এই আখের রস। ফলে ঢাকায়ও এ রসের চাহিদা রয়েছে। চিবিয়ে খাওয়ার জন্য সব থেকে ভালো জাতের আখ হলো এই ফিলিপাইন ব্ল্যাক জাতের আখ।

বাজারে যেসব আখ পাওয়া যায় অনেক সময় সেগুলো শক্ত, মিষ্টি কম ও রস কম থাকে। কিন্তু এই আখের মিষ্টতা অনেক বেশি, নরম থাকায় বৃদ্ধ ও শিশুরা এই আখ অনায়াসেই চিবিয়ে খেতে পারে। এর খোসা হাতের আঙুল দিয়েও ছাড়ানো যায়।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামের কলেজশিক্ষক আব্দুর রহিম তার গ্রামের বাড়িতে গত বছর থেকে ৫০ শতক জমিতে এই ফিলিপাইনের ব্ল্যাক জাতের প্রায় ১২ হাজার চারা রোপণ করেন। বাজারে দেশীয় যে আখগুলো দেখতে পাই সেগুলো সাধারণত সর্বোচ্চ ১০ ফুট বা তার একটু বেশি হয়ে থাকে, কিন্তু ফিলিপাইন জাতের আখের উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফুট হয়।

প্রতিটা চারার গোড়া থেকে আরও প্রায় ১০ থেকে ১৫টি চারা গজায়। সার-পানি খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। ফলে স্বল্প খরচেই এ আখ চাষ করা যায়। একবার এ চারা রোপণ করলে পরবর্তী ৩ বছর আর নতুন করে রোপণ করার প্রয়োজন হয় না। কেটে ফেলা আখের গোড়া থেকেই নতুন করে আখের চারা গজিয়ে ওঠে।

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, ফিলিপাইনের এ ব্ল্যাক সুগার জাতের আখ এখনো গবেষণা পর্যায়ে থাকলেও এর ফলনে কৃষকরা চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এটি ১৯১৮ সাল থেকে নটিফাইট ক্রপ হিসেবে গবেষণা চলছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্বল্প পরিসরে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh